জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে পাকা ধান
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে ৫২ শতাংশ জমির পাকা ধান। কাটতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন নীরিহ এক কৃষকসহ জমির মালিক।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে আহতদের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। এদের মাঝে শফিকুল ইসলামের (৪২) অবস্থা গুরুতর। সকালে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের করগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, করগ্রামের মৃত ইয়াদ আলীর ছেলের আতাউর রহমান লাভলুর (৪৫) নামীয় ৫২ শতাংশ জমি একইগ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম চুক্তিভিত্তিক (বন্ধক) নিয়ে ধান চাষ করেন। আতাউর রহমানের ভাই আব্দুল্লাহেল কাফী (৬০) ও আব্দুল্লাহেল বাকী ওই জমি জোরপূর্বক দখলের হুমকি দিয়ে আসছেন। এতে জমির ধান পেকে গেলেও ভয়ে কাটতে না পারায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল।
সোমবার সকালে কৃষক শফিকুল ইসলাম ওই জমির ধান কাটতে যান। এ সময় আব্দুল্লাহেল কাফী ও আব্দুল্লাহেল বাকী দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর জখম হলে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
জমির মালিক আতাউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরেই জোরপূর্বক তাদের জমি দখলের পায়তারা করে আসছিলেন। জমির পাকা ধান কাটতে গিয়ে শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন। শফিকুলের চিৎকারে ছুটে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এছাড়া বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে তারা ভাঙচুরসহ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটতরাজ করেছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, তারা এলাকার দাঙ্গাবাজ লোক। ধান কেটে রাখলেও তাদের ভয়ে ধান ঘরে তুলতে পারছেন না। এতে পাকা ধান ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহেল কাফী বলেন, এ জমি তাদের। নিষেধ অমান্য করে ধান রোপন করেছিল, তাই কাটতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনও অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মো. নাসিম উদ্দিন/এফএ/এমএস