মায়ের লাশ রেখে পরীক্ষা দেওয়া ঘাগ্রা পেলেন জিপিএ-৩
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কুইন্টার ঘাগ্রা জিপিএ-৩.০০ পেয়েছেন।
রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই জাল সেং ঘাগ্রা।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, তার এই ফলাফলে আমরা খুশি হয়েছি। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে সে। পরীক্ষার সময় মা মারা না গেলে হয়তো সে আরও ভালো করতে পারত।
আদিবাসী কুইন্টার ঘাগ্রা দুর্গাপুর পৌর শহরের আলহাজ্ব মাফিজ উদ্দিন তালুকদার কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিল। সে কলমাকান্দা লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের সিলভেস্টার ঘাগ্রার ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে ২৭ আগস্ট ভোরে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কুইন্টারের মা হেলিমা ঘাগ্রা। সকালে তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা ছিলো। কিন্তু তাদের বাড়িজুড়ে তখন শোকের মাতম। মায়ের লাশ বাড়িতে রেখেই দুচোখে জল নিয়েই পরীক্ষার টেবিলে বসেছিলেন কুইন্টার ঘাগ্রা। পরে বাড়িতে ফিরলে সমাধির কাজ সম্পন্ন হয়।
কুইন্টার ঘাগ্রা বলেন,আমার রেজাল্ট দেখে যেতে পারলো না মা। রেজাল্ট তেমন ভালো হয়নি। তারপরও খুশি আছি।
কুইন্টারের কলেজ শিক্ষক নুর মোহাম্মদ বলেন, ছেলেটি অত্যন্ত ভালো। পরীক্ষা চলাকালে ওর মা মারা যান। সেদিন মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেয়। তারপরের বাকি পরীক্ষাগুলো সে খুবই হতাশা নিয়ে দিয়েছে।
এইচ এম কামাল/এনআইবি/জেআইএম