মাইকিংয়ে সাড়া দেননি নেতারা, পোস্টার-ব্যানার অপসারণ করেছে পৌরসভা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পাবনায় পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড ইত্যাদি অপসারণ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীদের আগাম প্রচারণার পোস্টার-বিলবোর্ডসহ অন্যান্য প্রচার সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেয়। নির্দেশনা বাস্তবায়নে পৌর শহরে মাইকিং করে পৌর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এতে সাড়া মেলেনি কোনো রাজনৈতিক নেতার। তাই বাধ্য হয়ে রোববার (১৯ নভেম্বর) পৌর কর্তৃপক্ষ ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও বিলবোর্ড অপসারণ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপির বিক্ষোভ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ভাঙচুর
আওয়ামী লীগের প্রায় দুই ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়াও বিএনপি-জামায়াতের নেতারাও আন্দোলন সংগ্রাম প্রতিহতের ডাক দিয়ে এসব ফেস্টুন ও পোস্টার সাটিয়েছিলেন। যেদিকে চোখ যেতো সেদিকেই শুধু রাজনৈতিক নেতাদের প্রচারণার পোস্টার-ফেস্টুন। এতে নষ্ট হতে বসেছিল শহরের সৌন্দর্য।
ঈশ্বরদী পৌরসভার পয়োবর্জ্য পরিদর্শক আলিউজ্জামান রুহেল জাগো নিউজকে বলেন, নিজ নিজ খরচে ফেস্টুন, বিলবোর্ড অপসারণের জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু কোন নেতা এতে সাঁড়া দেয়নি। রবিবার থেকে এসব ফেস্টুন ও বিলবোর্ড অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈশ্বরদীতে মাটি চাপা দেওয়া হলো ৪ মণ পচা মাংস
পাবনা-৪ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঈশ্বরদীর নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার আগাম যেসব পোস্টার-বিলবোর্ডসহ অন্যান্য প্রচার সামগ্রী লাগানো হয়েছে সেসব সরানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্দেশনা অনুযায়ী সব রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা সম্বলিত কোনো ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড থাকলে যথাসম্ভব তাদের নিজ খরচে অপসারণ করার জন্য বলা হয়েছে। পৌরসভার মেয়র এবং সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের এ তারিখ ঘোষণা করেন।
শেখ মহসীন/জেএস/জিকেএস