৪৭০ টাকার জন্য যুবককে খুন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মজনু সরকার নামের এক যুবককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মজনুর স্ত্রী চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরআগে একইদিন দুপুরে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মজনু সরকার উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের চুকুরিয়া গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
গ্রেফতার দুজন হলেন চুকুরিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার কয়েস খানের ছেলে হুমায়ুন খান ও হাসেন খানের ছেলে আল আমিন খান।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি মজনু সরকারের কাছ থেকে আসামি আল-আমিন খান ৪৭০ টাকা ধার নেন। পাওনা টাকা চাওয়ায় সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে একই গ্রামের কদ্দুস মিয়ার ছেলে জহুর উদ্দিন মাছ ধরার কথা বলে মজনুকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি।
বুধবার দুপুরে একই উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের ভররা গ্রামের জনৈক লাবু মিয়ার পুকুর থেকে মজনু সরকারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মজনু সরকারের স্ত্রী আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে চুকুরিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার কয়েস খানের ছেলে হুমায়ুন খান ও হাসেন খানের ছেলে আল-আমিন খানকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। বুধবার রাতে মির্জাপুর থানাপুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে।
জামুর্কী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মামুন মিয়া জানান, পাওনা ৪৭০ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মজনু ও আল-আমিনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানতে পেরেছেন। এর রেশ ধরেই মজনুকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবার থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নবী হোসেন বলেন, এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এস এম এরশাদ/এসআর/এমএস