শিক্ষককে একের পর এক লাথি ছাত্রের, ছেলের বিচার চান মা
নোয়াখালীর চাটখিলে আবদুর রহমান নামের এক মাদরাসা শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র (১৫)। এ ঘটনায় ছেলের অপরাধের উপযুক্ত বিচার চেয়েছেন ওই ছাত্রের মা।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে পাঁচগাও ইউনিয়নের আফসারখিল গ্রামের দাওয়াতুল ঈমান মডেল বিজ্ঞান কারিগরি দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক আবদুর রহমান।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ছাত্র পলাতক। সে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বলে জানা গেছে। তার বাবা একজন প্রবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর ১টার দিকে ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক আবদুর রহমান। এসময় আরেক ছাত্রের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে ডেকে নিয়ে আসে ওই ছাত্র। পরে ওই ছাত্র তার মায়ের সামনে শিক্ষককে উপর্যুপরি লাথি ও রড দিয়ে আঘাত করে। পরে আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
শিক্ষক আবদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘ ১৪ বছর মাদরাসায় শিক্ষকতা করি। ওই ছাত্রের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য অনেকবার তাকে বহিষ্কার করা হয়। আবারও বেপরোয়া আচরণের জন্য সতর্ক করায় সে তার মায়ের সামনে আমার ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।’
হামলার বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্তের মা জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষকের অভিযোগ সত্য। তবে কী কারণে আমার ছেলে এমন জঘন্য আচরণ করলো তা বুঝে উঠতে পারছি না। তবে আমি আমার ছেলের উপযুক্ত বিচার চাই। খবরটি শুনে তার বাবা বিদেশ থেকে ফোন ব্লক করে পরিবারের কারোর সঙ্গে কথা বলছেন না।’
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত ছাত্র কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। তার নেতৃত্বে মাদরাসা এলাকায় কিশোর গ্যাং পরিচালিত হয়। কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিয়ে সে মাদরাসা এলাকায় প্রায়সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের পাশাপাশি রাস্তায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করারও অভিযোগ রয়েছে। অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে কয়েকবার তাকে মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পাঁচগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন তরুণ জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগের কপি এখনো হাতে পাইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জেআইএম