জেএমবির বোমা হামলা
নিহত ঝালকাঠির দুই বিচারকের স্মরণে নানা কর্মসূচি
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যার ১৮তম বার্ষিকী আজ।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে নানা কর্মসূচি পালন করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ও আইনজীবী সমিতির সদস্যরা।
সকাল ৮টায় আদালত চত্বর থেকে একটি শোকযাত্রা বের হয়ে শহর ঘুরে নিহত বিচারকদের স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। তাদের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আদালতের শহীদ সোহেল-জগন্নাথ মিলনায়তনে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
ঝালকাঠির সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলামে সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন জেলা পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পারভেজ শাহরিয়ার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ হামিদ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও পিপি আব্দুল মান্নান রসুল, সাধারণ সম্পাদক বনি আমীন বাকলাই প্রমুখ।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে এ নৃশংস হামলা চালায় জেএমবি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মাইক্রোবাসে থাকা সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ের। আহত অবস্থায় ধরা পড়েন হামলাকারী জেএমবি সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন। এরপর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হয়।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সে রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ শীর্ষ ছয় জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এরা হলেন জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই, সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানি, উত্তরাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী আবদুল আউয়াল, দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী খালেদ সাইফুলাহ ও বোমা হামলাকারী ইফতেখার হাসান আল মামুন। ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর জঙ্গি আসাদুল ইসলাম আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হয় খুলনা কারাগারে।
আতিকুর রহমান/এসআর/জিকেএস