জয়পুরহাট

ভোলা মন্ডল হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০২৩

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ভোলা মন্ডল হত্যা মামলার ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নূর ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছে জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁশলি (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের নিভরসা ওরফে শুকটার ছেলে আব্দুল মান্নান, মৃত বিরাজের ছেলে ছানোয়ার হোসেন, ছানোয়ারের ভাই সাহাজ হোসেন, খয়বর আলীর ছেলে রমজান আলী, সামসুদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন, মৃত হাতেমের ছেলে দুলো, মৃত অফির উদ্দীনের ছেলে শাহজাহান, মৃত মজিবর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম, মৃত বিরাজ উদ্দীনের ছেলে আনোয়ার, খয়বরের ছেলে আব্দুল ওহাব, মৃত হাতেম আলীর ছেলে আব্দুল খালেক, মৃত বিরাজ উদ্দীনেরর ছেলে দেলোয়ার, রিয়াজ উদ্দীন এবং আব্দুল খালেকের ছেলে আনিছুর। তাদের মধ্যে আব্দুল মান্নান পলাতক রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভোলা মন্ডল পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষের ব্যবসা করতেন। তিনি নিজেও পাওয়ার টিলার চালাতেন। পাশাপাশি মীর শহিদ নামে একজন চালকও রেখেছিলেন।

২০০৩ সালে ৫ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে ভোলা তার চালক মীর শহিদকে নিয়ে জমি চাষ করতে যান। চাষ শেষ না হওয়ায় রাতেও কাজ করতে হবে বলে বাড়িতে জানান। এরপর তার ওপর তিন ভাই খাবার নিয়ে মাঠে যান। এসময় মীর শহিদকে পাওয়ার টিলার চালাতে দিয়ে ভোলা খাবার খেয়ে চার ভাই পাশের ভিটায় বিছানা বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সে রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা পিস্তল, সামুরাই, রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। এসময় আসামিদের মারপিট ও অস্ত্রের আঘাতে ভোলা গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক হওয়ায় জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দোলা মন্ডল বাদি হয়ে পরের দিন পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।

এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।