মিরসরাই

তিনদিনে আলুর দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: ০৫:৩২ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০২৩

আমদানির প্রভাবে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কমেছে আলুর দাম। বর্তমানে প্রতিকেজি আলু পাইকারিতে ৩৬ থেকে ৪০ টাকা ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। তিনদিনের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে আলুর দাম কমেছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

উপজেলার বড়দারোগাহাট, বারইয়ারহাট, মিঠাছড়া, বড়তাকিয়া, মিরসরাই পৌর বাজার, আবুতোরাব বাজারে এই দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। তবে গ্রামীণ বাজার ও দোকানগুলোতে এখনো আগের দামেই আলু বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে বারইয়ারহাট বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিকেজি আলু মানভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা তিনদিন আগেও ৭০ টাকা কেজি ছিল।

আরও পড়ুন: রংপুরে আলুর কেজি ৮০, বেড়েছে মুরগির দামও

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা আলুর পরিমাণ চাহিদার তুলনায় কম হলেও দেশের বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। এছাড়া বাজারে উত্তরাঞ্চলের আগাম আলু আসতে শুরু করেছে। খুচরা বাজারের তুলনায় পাইকারি বাজারে আলুর দাম বেশি কমেছে। তবে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়ছে কম।

বড়দারোগাহাট বাজারের পাইকার গোলাম রাব্বানী বলেন, পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩৬ থেকে ৪০ টাকা দামে। যা আগের থেকে প্রায় ২০ টাকা কম। যে কারণে খুচরা বাজারে ৪০-৪৫ টাকা দামে আলু বিক্রি করার কথা। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা এখনো দাম কমায়নি। আগে কেনার অজুহাতে সামান্য কিছু কমিয়ে বিক্রি করছে।

বাজার করতে আসা স্কুলশিক্ষক মহজারুল ইসলাম বলেন, পাইকারিতে যখন কোনো পণ্যের দাম বাড়ে, তখন ব্যবসায়ীরা সঙ্গে সঙ্গে ওই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা দাম না কমিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করছে।

jagonews24

আরেক ক্রেতা নিজাম উদ্দিন বলেন, শুনেছি পাইকারিতে আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা এখনো পাইকারি দামের চেয়ে কেজিতে ১৫ টাকা বেশি রাখছে। বাজার মনিটরিং করা জরুরি। নাহলে আমাদের মতো সাধারণ ভোক্তাদের ঠকানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘শাক-সবজি কিনেই অবস্থা খারাপ, মাংস কিনমু কেমনে’

দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, বড় বাজারে আলুর দাম কমলেও গ্রামের দোকানগুলোতে প্রতি কেজি আলু ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করছে। তারা আগে কেনার অজুহাত দিয়ে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

বারইয়ারহাট পৌর বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত উল্লাহ বলেন, সরকার আলু আমদানি করায় ধীরে ধীরে দাম কমছে। চারদিন আগে যে আলু ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তা ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

করেরহাট বাজার পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানির জেরে পাইকারিতে আলুর দরপতন হয়েছে। পাইকারিতে প্রতি কেজি আলুর দাম ২০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।

আরও পড়ুন: ‘আলু এখন বড়লোকের খাবার’

ক্যাবের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, বাজারে প্রতিটি পণ্য নিয়ে চলছে সিন্ডিকেট। ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক পণ্য নিয়ে খেলছেন। এর সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে আলু। ব্যবসায়ীরা আলুর এমন সংকট তৈরি করেছে সরকারকে শেষ পর্যন্ত আমদানির অনুমতি দিতে হয়েছে। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাবো, ব্যবসায়ীদের ক্রয় ও বিক্রয় রশিদ দেখে যেন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয়।

এম মাঈন উদ্দিন/জেএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।