যশোরে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেলেন ৪০০ নারী-শিশু
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার প্রেমচারা গ্রামের বাসিন্দা শতবর্ষী আয়নামতি। লাঠি ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এসেছিলেন চিকিৎসক দেখাতে। বাড়ির পাশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিনা টাকায় চিকিৎসা দেবেন শুনে এসেছিলেন তিনি। বিনা টাকায় ডায়াবেটিস, ঘাড়, হাঁটু ও কোমরের হাড়ে ব্যথার চিকিৎসা পেয়ে খুশি আয়নামতি।
সোমবার (৬ নভেম্বর) এ চিকিৎসা ক্যাম্প বসেছিল উপজেলার আরশাদ আছিয়া অটিজম ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে।
এ ক্যাম্পে শুধু আয়নামতি নন; তার মতো চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধ পেয়েছেন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী মাগুরার শালিখা উপজেলার ছয়গ্রামের ৩০০ নারী ও বিদ্যালয়ের সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক শিক্ষার্থী।
দিনব্যাপী রবিউল-রাহিমা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে বন্দবিলা ইউনিয়নের আরশাদ আছিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। ধারাবাহিক এ কর্মসূচির উদ্বোধনী দিনে চিকিৎসাসেবা দেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন ডা. প্রকাশ চন্দ্র মজুমদার।
চিকিৎসা নিতে আসা পার্শ্ববর্তী শালিখা উপজেলার ভরতপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব সাফিনা বেগম বলেন, ‘শরীর দুর্বল, বল-শক্তি পাইনে। গরিব মানুষ, ট্যাহা-পয়সার অভাবে টাউনি যাইয়ে চিকিৎসা করতি পারিনে। এখেনে আইসে বড় ডাক্তার দেখাইয়ে শরীরডা একটু শান্তি লাইগতেছে। ডাক্তারে দেকলো, ওষুধও পালাম।’
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী তানিয়ার মা সেলিনা খাতুন বলেন, ‘পাঁচ বছর বয়সে বুঝতে পারি তানিয়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। আজ স্কুলে এসে ডাক্তার দেখালাম। তিনি বলেছেন, ভিটামিন ডির অভাব। ওষুধ দিয়েছেন।’
আরশাদ আছিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শামীম আক্তার বলেন, ‘সেবার মানসিকতা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এলাকাবাসীর দোরগোড়ায় বিনামূল্যে স্থাস্থ্যসেবা ও ওষুধ পৌঁছে দিতে কাজ করছি। প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এর মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।’
মিলন রহমান/এসআর/এমএস