গরিবের ভরসা এখন কলমিশাক

আব্দুস সালাম আরিফ আব্দুস সালাম আরিফ , জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০৪:০৩ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০২৩

৩০ বছর ধরে পটুয়াখালীর নিউমার্কেটে সড়কের পাশে বিভিন্ন পদের শাক বিক্রি করেন বারেক হাওলাদার (৭০)। সাধারণত কৃষকদের কাছ থেকে পাইকারি দামে কিনে খুচরা বিক্রি করেন তিনি। তবে গত কয়েক মাসে বিভিন্ন শাকের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে এখন নিজেই বিক্রেতাদের কাছে দাম চাইতে গিয়ে অস্বস্তিতে ভুগছেন।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে কথা হয় বারেক হাওলাদারের সঙ্গে। তিনি জানান, বর্তমানে প্রতি আঁটি লাউশাক ৬০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা ও কলমিশাক পাঁচ টাকায় বিক্রি করছেন। কৃষকদের কাছ থেকে যে দামে কেনেন তার চেয়ে পাঁচ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন তিনি। এরমধ্যে রয়েছে পরিবহন খরচ।

Potu-(4).jpg

আরও পড়ুন: ‘শাক-সবজি কিনেই অবস্থা খারাপ, মাংস কিনমু কেমনে’

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরও শাকের দাম এত বেশি ছিল না। অন্য সবজির দাম বেশি হলেও মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে শাক কিনে খেতে পারতেন। গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে শাক। তবে সে অনুপাতে কলমি শাকের দাম বাড়েনি।

জহিরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগে মানুষ শাকসবজি খেয়ে কোনোরকম জীবনধারণ করতে পারতো। তবে এখন সেই পরিস্থিতিও নেই। এক আঁটি লাউশাক যদি ৬০ টাকায় কিনতে হয় তাহলে মানুষ খাবেটা কী। একেবারে বাধ্য না হলে কেউ শাক-সবজিও কিনছেন না। সবার পিঠ এখন দেওয়ালে ঠেকে যাচ্ছে।’

Potu-(4).jpg

এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিপণন কার্যালয়ের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে সবকিছুর দামই একটু বেশি। এরপরও যাতে কেউ অধিক মুনাফা করতে না পারেন সে বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি।

আব্দুস সালাম আরিফ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।