হামুনের তাণ্ডবে অচল কক্সবাজারের জীবনযাত্রা

সায়ীদ আলমগীর
সায়ীদ আলমগীর সায়ীদ আলমগীর কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

অডিও শুনুন

ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন। মাত্র দুই ঘণ্টার তাণ্ডবে এক প্রকার অচল হয়ে আছে কক্সবাজারের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে কক্সবাজার জুড়ে। বুধবার সকাল থেকে নেই মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও।

বাতাসের তীব্রতায় গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে উপড়ে গেছে বড় বড় গাছ ও কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি। সকাল থেকে কক্সবাজার পৌরসভা এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, পৌর কর্মচারী ও স্ব স্ব বিভাগের লোকজন রাস্তা ও বাসাবাড়িতে উপড়ে পড়া গাছগুলো সরানোর কাজ শুরু করেছে। গাছের সঙ্গে লেগে ভেঙে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটি সারানোর কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কিন্তু বুধবার বিকেল নাগাদ সারানো সম্ভব না হওয়ায় চালু হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ।

jagonews24

এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পাহাড়তলীতে বাড়ির দেওয়াল চাপায় আবদুল খালেক (৫২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ২ নম্বর ওয়ার্ডে বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে আরও দুজন নিহতের কথা শোনা গেলেও তাদের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা একপ্রকার বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে ঘূর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে। এরপর একটানা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূল ও এর আশপাশের অঞ্চল দিয়ে ব্যাপক ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। একইসঙ্গে চলে বজ্রসহ বৃষ্টিও।

ঝড়ো হাওয়া আর বাতাসের তীব্র আঘাতে কক্সবাজার শহর ও উপকূল এলাকায় গাছপালা উপড়ে এবং কাঁচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। মাঝরাতেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে, বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি থেমে সূর্য ওঠায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

jagonews24

কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরসহ অনেক এলাকায় ঝড়ের আঘাতে গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। বুধবার (বিকেল ৫টা) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক আসেনি।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে জেলায় কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে, সার্কিট হাউজ সড়ক, শৈবাল সড়ক, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ সরকারি নানা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় গাছ উপড়ে গেছে। যোগাযোগ স্বাভাবিক না হওয়ায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো সঠিক বলা যাচ্ছে না। তবে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে কাজ চলছে।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।