‘আমাদের এখন না খেয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই’

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: ০২:০৮ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

অডিও শুনুন

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সরকার নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আলু-পেঁয়াজ। কমছে না সবজির দামও। ৮০ টাকার কমে মিলছে না কোনো সবজি। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা।

মিরসরাইয়ের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁপে ছাড়া সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। প্রকারভেদে ৮০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা শামসুল আলম বলেন, পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ২০ টাকা ৫০ টাকা বেড়েছে।

আরও পড়ুন: ক্রেতার নাগালে নেই সবজি-মাছ, ডিম-পেঁয়াজও বাড়তি

বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৮০ থেকে ১৬০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকায়, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৭০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ধনেপাতার কেজি ৪০০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৬০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি ৫৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৮০ টাকা, শিম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, পাকা টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ৪০ টাকা, লাউ শাক ৫০ টাকা, মুলা শাক ৩৫ টাকা, পালং শাক ৩৫ টাকা, কলমি শাক ২৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে সবজির দাম

ইলিশ মাছ ধরা ও বিক্রি বন্ধ রয়েছে। তাই অন্যান্য মাছের দাম গত ১৫দিন ধরে বেশি। এসব বাজারে চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা।

‘আমাদের এখন না খেয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই’

প্রতি কেজি পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা।

মিরসরাই সদরে কাঁচা বাজার করতে আসা অঞ্জন শর্মা বলেন, ‘বাজারে এসে দেখছি ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। ডিম কিনতে এসে দেখি প্রতি ডজন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে আমাদের এখন না খেয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।

বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসে ফেরি করে সংসার চালানো নুরুল আনোয়ার বলেন, ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালানো এবং তাদের পড়ালেখার খরচ সামলাতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এক কথায় অনেক কষ্টে দিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বেড়েছে আলু-পেঁয়াজ-কাঁচামরিচের দাম, অপরিবর্তিত ডিম-চাল-ডাল-মুরগি

এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু-পেঁয়াজ বিক্রির বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে কেউ বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাইলে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তা নিয়ন্ত্রণ করবো।

এম মাঈন উদ্দিন/জেএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।