গুলিয়াখালী সৈকতে পর্যটকদের উল্লাস, জানেন না বিপৎসংকেতের কথা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলে আবহাওয়া অফিস। কিন্তু এমন সংকেতের তোয়াক্কা না করে দলে দলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার গুলিয়াখালী সৈকতে ঘুরতে এসেছেন পর্যটকরা। নেমেছেন গোসলেও।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় হামুনকে কেন্দ্র করে সকালে উপজেলা কার্যালয়ে জরুরি সভার মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। এছাড়া ৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৫টি মেডিকেল টিম ও শুনো খাবারে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সীতাকুণ্ড থেকে সন্দ্বীপ চলাচলের স্পিডবোট ও নৌকা চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে গুলিয়াখালী সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে আসছেন পর্যটকরা। দল বেঁধে খেলছেন ফুটবল। আবার কেউ গোসল করছেন সমুদ্রের পানিতে।
কয়েকজন পর্যটক জানান, সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় বিপদ সংকেতের ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। সমুদ্রে নামার সময় কেউ নিষেধও করেনি। এছাড়া কোনো সতর্ক চিহ্নও দেয়নি । প্রশাসনের তৎপরতা থাকলে ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে সেখানে যাওয়া সম্ভব হতো না।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা সিয়াম নামে এক যুবক বলেন, আমরা ১১ জনের একটি টিম এখানে বেড়াতে এসেছি। সবাই মিলে খুব মজা করছি। কিন্তু এমন একটি পর্যটনকেন্দ্রে কেউ একবারের জন্য বললো না যে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিপৎসংকেত চলছে।
সায়িব নামে আরেক যুবক বলেন, সকাল থেকে দেখছি আবহাওয়া খারাপ। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের বিপৎসংকেত চলছে সেটা জানি না। জানলে আমরা আসতাম না।
রাফসান নামে আরেক পর্যটক বলেন, ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে এ বিষয়ে কেউ কিছু বলেনি। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল সতর্কমূলক কিছু করা। যদি এখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে এই দায়ভার কে নিবে।
মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গুলিয়াখালী সৈকত কমিটির সদস্য সচিব রেজাউল করিম বাহার বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। এখানে তো জনে জনে বলা সম্ভব নয়।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গুলিয়াখালি সৈকত কমিটির সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, সকালে ঘূর্ণিঝড় হামুনকে কেন্দ্র করে জরুরি সভার মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সর্তক অবস্থানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র, ১৫টি মেডিকেল টিম ও শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এম মাঈন উদ্দিন/এসজে/এএসএম