ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা

পাশাপাশি কবরে একই পরিবারের ৪ জনের দাফন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৮:২৮ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের চারজনের মরদেহ দাফন হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের বনাটী গ্রামে জানাজা শেষে পাশাপাশি তাদের দাফন করা হয়।

নিহত চারজন হলেন- ওই গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া (৩৫), পুত্রবধূ ফাতেমা খাতুন (৩০) এবং নাতি সজিব মিয়া ( ৮) ও ইব্রাহীম মিয়া (৫)।

জানাজায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাজারো মানুষ অংশ নেন। জানাজা পড়েতে এসে স্বজনসহ এলাকার মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।

স্বজনরা জানান, সুজন মিয়া ঢাকার মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। সেখানে আশপাশের এলাকায় ডাব বিক্রি করে পরিবারের চার সদস্য নিয়ে সংসার চালাতেন। বৃহস্পতিবার ভাতিজার বিয়ের অনুষ্ঠানে নিজ বাড়ি নান্দাইলে আসেন। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে সোমবার পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় সপরিবারে নিহত হন।

জানাজা পড়তে আসা আব্দুল কদ্দুস বলেন, একসঙ্গে চারজনের জানাজা পড়বো ভাবতেই পারি নাই। আল্লাহ যে কখন কাকে কীভাবে রাখেন কেউ বলতে পারে না। পরিবারটিতে কেউ বাঁইচা রইলো না।

আরও পড়ুন: বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরা এক পরিবারের সবাই নিহত

নিহত সুজন মিয়ার ভাই স্বপন মিয়া বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় ফিরছিলাম। তবে ঘটনার সময় অন্য আরেকটা বগিতে থাকায় রক্ষা পাই। ট্রেন দুর্ঘটনায় সঠিক কারণ বের করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।

নিহতের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান নান্দাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুণ কৃষ্ণ পাল। এ সময় তিনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশের জগন্নাথপুর এলাকার মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় ভৈরব থাকে ছেড়ে যাওয়া এগারসিন্ধু ট্রেনের পেছনের তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় ঢাকার সঙ্গে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কিশোরগঞ্জের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেনে থাকা ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসজে/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।