নিহত ৮ জনের পরিচয় মিলেছে, স্বজনদের কাছে হস্তান্তর
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ২০ জনের মধ্যে আটজনের পরিচয় মিলেছে। তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক যাত্রী।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আহতদের চারজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। ২১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পরিচয় পাওয়া আটজন হলেন- ময়মনসিংহ নান্দাইল মেরেদা এলাকার জুনায়েদ মিয়ার স্ত্রী জোসনা বেগম, কুলিয়ারচর লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবীর, বাজিতপুরের ভূঁইয়াগাঁও গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে আদির উদ্দিন, নরসিংদীর রাধানগর গ্রামের আগানগরের আব্দুল মান্নানের ছেলে আফজাল হোসেন, ভৈরব বাজার রানী বাজারের বাসিন্দা প্রবোধ চন্দ্র শীলের ছেলে সবুজ চন্দ্র শীল, ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের আরাফাত হোসেন, কিশোরগঞ্জের চানঁপুর গুপদিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে সায়মন মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল থানা মৃত সুরত আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন সরকার।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। একইসময় ভৈরব থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ট্রেন এগারো সিন্ধুর। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়। তাৎক্ষণিক ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আরও দুজনের মরদেহ পাওয়া যয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথ আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনে নিহত ও আহতদের উদ্ধার কাজ চলছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঢাকা থেকে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। তার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্ধুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল। জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারসিন্ধুর ট্রেনের শেষের দু-তিনটি বগিতে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। মূলত সিগনালিংয়ের কোনো জটিলতায় এমনটা ঘটেছে।
রাজীবুল হাসান/এসজে