যাত্রী সেজে ভ্যান ছিনতাইয়ের পর চালককে খুন করলেন প্রতিবেশী
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে আশরাফুল ইসলাম (১৫) নামে এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় নয়ন ও বাবু নামে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ঝালরচর বাজারের উত্তর পাশে বাছেতপুর এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আশরাফুল ইসলাম উপজেলার তারাটিয়া গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে। সে তারাটিয়া লাল মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, আশরাফুল ইসলাম লেখাপড়ার পাশাপাশি ভ্যান চালিয়ে পরিবারকে সহায়তা করত। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আশরাফুল ভ্যান নিয়ে বের হলে নয়নসহ মোট তিনজন দেওয়ানগঞ্জ যাবে বলে ভাড়া ঠিক করেন। পথিমধ্যে দেওয়ানগঞ্জ-ডাংধরা সড়কের বাছেতপুর ও ঝালরচরের মাঝামাঝি স্থানে এসে ভ্যান থামিয়ে ছদ্মবেশী যাত্রী নয়নসহ ছিনতাইকারীরা আশরাফুলের মাথায় আঘাত করেন। এক পর্যায়ে আশরাফুলের মৃত্যু হলে ছিনতাইকারীরা মরদেহ পাশে একটি ঝুপড়ি স্থানে ফেলে পালিয়ে যান।
এদিকে আশরাফুলের মরদেহ গুম করে ভ্যান নিয়ে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকায় বিক্রির জন্য চেষ্টা চালান ছিনতাইকারীরা। এ সময় তাদের গতিবিধি দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ছিনতানকারী সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয়নকে রাতেই আটক করে।
আটক নয়ন তারাটিয়ার মহাল মিয়ার ছেলে এবং নিহত আশরাফুলের প্রতিবেশী। পুলিশ থানায় এনে নয়নকে জিঞ্জাসাবাদের এক পর্যায়ে আশরাফুলকে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বীকার করেন তিনি। পরে সোমবার নয়নের সহযোগিতায় দেওয়ানগঞ্জ-ডাংধরা সড়কের বাছেতপুর ও ঝালরচরের মাঝামাঝি স্থানের ঝুপড়ি এলাকা থেকে আশরাফুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বাবু নামে আরেকজনকে আটক করে পুলিশ।
দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কান্ত চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নাসিম উদ্দিন/এফএ/জেআইএম