দেবে গেছে কালভার্ট, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের হরিহারা গ্রামের কালভার্টটি দেবে গেছে। এতে শুষ্ক মৌসুমে হেঁটে ও বাইসাইকেল ব্যবহার করে চলাচল করা গেলেও বৃষ্টিতে একেবারেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে কালভার্টটি। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে মানুষ। তবে মালামাল নিয়ে চলাচলকারী ভ্যান, পিকআপ ও ট্রাকগুলোকে চার কিলোমিটার ঘুরে উঠতে হচ্ছে নীলফামারী-ডোমার প্রধান সড়কে।
এ পথ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করেন ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘খালি ভ্যান নিয়ে কালভার্টের ওপর দিয়ে আসাও কষ্টকর। এমনভাবে দেবে গেছে যে, যাত্রী নিয়ে ভ্যান নামালে উল্টে পড়ার উপক্রম হয়। যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে অন্যের সহায়তা নিয়ে ভ্যান ওঠাতে হয়। বর্ষাকালে তো কালভার্টটি হাঁটু পানি দিয়ে পার হতে হয়।’
হরিণচড়া ইউনিয়নের হরিহরা এলাকার বাসিন্দা আলম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘নদী খননের কারণে নিচের বালু সরে গিয়ে কালভার্টটি ভেঙে গিয়ে দেবে যায়। এখন এর ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।’
স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল দাস। তিনি জানান, এখান থেকে কিছুটা দূরে স্কুল রয়েছে। কালভার্টটির বেহাল অবস্থার কারণে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। মালামাল নিয়ে ভ্যান, পিকআপ কিংবা ট্রাকগুলোকে চার কিলোমিটার ঘুরে নীলফামারী-ডোমার প্রধান সড়কে উঠতে হয়। বিশেষ করে হরিণচড়া বাজারে যাতায়াতকারীদের বিড়ম্বনার শেষ নেই।
সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশা মনি। সে জাগো নিউজকে বলে, ‘প্রতিদিন আমরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। বর্ষাকালে কালভার্টের ওপরে পানি থাকে। এতে যাতায়াত করা অনেক কষ্টকর হয়। তখন আমাদের অন্য রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।’
কালভার্টটি কলমদার নদীর ওপর অবস্থিত। সম্প্রতি নদী খনন করায় পানিতে স্রোত বৃদ্ধি পায়। নদীতে পানি বাড়ার ফলে কালভার্টটি দেবে গিয়ে ভেঙে যায়। এরপর থেকে এটি চলাচলের জন্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় ব্যবসায়ীদের অনেক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। মালামাল আনা-নেওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে ভ্যানে মালামাল নিয়ে আসা হলেও কালভার্ট পার হতে গিয়ে ভ্যান উল্টে যায়। দ্রুত এটি সংস্কার কিংবা নতুনভাবে তৈরি করা দরকার।’
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে কালভার্ট নির্মাণ করতে জেলা পরিষদ ও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাক আহমেদ বলেন, একটি প্রকল্প তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। গতমাসে আমরা কালভার্টটির মাঠি ও জায়গা নির্ধারণ করেছি খুব শিগগির সেখানে নতুন করে কালভার্ট নির্মাণকাজ শুরু হবে।
এসআর/জিকেএস