ওজনস্কেল এড়িয়ে অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে যান চলাচল, বেহাল সড়ক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ১২:৩২ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

পায়রা সেতুর ওজনস্কেল এড়িয়ে গভীর রাতে পটুয়াখালী শহর থেকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার প্রধান সড়কটি দিয়ে চলাচল করে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন। এতে সড়কে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। মাঝে মধ্যেই ভাঙা এ সড়কে মালবাহী ট্রাক আটকে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। তখন দুর্ভোগে পড়েন এ সড়কে চলাচল করা পথচারী ও যাত্রীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ এলাকা থেকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা হয়ে বরগুনায় যাতায়াতের জন্য একটি সড়ক রয়েছে। এই সড়কটি ব্যবহার করলে পায়রা নদীর ওপর নির্মিত পায়রা-লেবুখালী সেতু পার হতে হয় না। পাশাপাশি মির্জাগঞ্জ উপজেলা থেকে পায়রা নদীর পায়রাকুঞ্জ-মনোহরখালী এলাকা দিয়ে ফেরি পার হয়ে পটুয়াখালী শহরে প্রবেশ করা যায়। এ কারণে পায়রা লেবুখালী সেতুর ওজনস্কেল এড়িয়ে বাকেরগঞ্জ-মির্জাগঞ্জ-পটুয়াখালীর এই সড়কটি ব্যবহার হচ্ছে।

jagonews24

এদিকে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের কারণে এ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এত চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই এলাকার বাসিন্দারা। কয়েকদফা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও এর কোনো প্রতিকার মিলছে না।

আরও পড়ুন: ১৫ বছরেও হয়নি সড়ক, স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে নির্মাণ

মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খান মো. আবু বরকর সিদ্দিকী বলেন, ‘সড়কটি গত বছরও সংস্কার করা হয়েছে। এরপরও ভারী যানবাহন চলাচল করায় এ বছর আবারও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় জেলা শহরে যাতায়াতের প্রধান সড়কটিতে এমন ভোগান্তি আমাদের ব্যথিত করে। আমরা এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই। ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকদফা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। রাতের আঁধারে এসব যানবাহন চলাচল করছে। তবে সড়ক বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো এ বিষয়ে একটু নজর দেওয়া জরুরি। পাশাপাশি সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে কাজের তদারকি ও মান রক্ষা করার অনুরোধ করছি।’

jagonews24

পটুয়াখালী জেলা পুলিশের টিআই (অ্যাডমিন) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন কাজল বলেন, ‘প্রতিটি যানবাহন কী পরিমাণ পণ্য পরিবহন করতে পারবে তার যানবাহনের চাকার ওপর নির্ভর করে। একটা গাড়ির একটা এক্সেলের জন্য ১০ টন পর্যন্ত পণ্য পরিবহন করতে পারবে। তবে ফিডার রোডগুলোতে হাই লোডেড গাড়িগুলো চলাচল করার কথা নয়। এরপরও গভীর রাতে কিছু যানবাহন চলাচল করছে। দিনের বেলায় এবং রাত ১১টা পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি নজরদারি করে। কোনো অবস্থাতেই এই সড়ক দিয়ে যাতে অধিক লোডের গাড়ি চলাচল করতে না পারে সেজন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।’

আরও পড়ুন: খানাখন্দে ভরপুর মহাসড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ বলেন, ‘সড়কটি চলাচলের উপযোগী রাখতে এরই মধ্যে বিভাগীয়ভাবে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুরো সড়কটি সংস্কারে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। রাতে এই সড়কটি দিয়ে অধিক লোডের যানবাহন চলাচল করায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি কীভাবে যানবাহনগুলো চলাচল বন্ধ করা যায়।’

আব্দুস সালাম আরিফ/জেএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।