লালমনিরহাট

ভোরের শিশির ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ১০:০৬ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

কার্তিক মাসের শুরুতেই কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়েছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট। ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হালকা কুয়াশায় ঢেকে থাকে লালমনিরহাট। আশ্বিনের কয়েক দিনের বৃষ্টির পর চলতি বছর আগাম শীত অনুভব হচ্ছে উত্তরের বিভিন্ন জেলায়। ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নতুন বীজের প্রস্ফূটিত চারা। তাতে শিশিরবিন্দু ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা।

লালমনিরহাটের দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই কুয়াশায় আস্তে আস্তে ঢেকে যায় শহরের রাস্তাঘাট। সকাল ৯টা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলছে যানবাহন।

কার্তিকের শুরু থেকেই চারদিকে কুয়াশার মৃদু আবরণ আর নতুন ধানের মিষ্টি গন্ধ জানান দিচ্ছে হেমন্তের উপস্থিতি। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসজুড়েই হেমন্তের বিস্তৃতি। শরতের কাশফুল মাটিতে নুইয়ে পড়ার পরপরই হাজির হয় হেমন্ত। এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে ঘন কুয়াশা। শেষ রাতের দিকে অথবা খুব সকালে শীত অনুভূত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে কুড়িগ্রাম

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, প্রতিবছর তিস্তা চর এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। গত কয়েকদিন থেকে রাতে ও সকালে পুরো এলাকায় কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে। এসব এলাকায় শীতের অনুভব হচ্ছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এক সপ্তাহ ধরে চর এলাকায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল হলে কুয়াশায় ঢেকে যায় পুরো তিস্তা চর। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। প্রতিবছর চর এলাকার মানুষ শীতে কষ্টের দিন যাপন করেন।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ১৪ অক্টোবর থেকে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রটি বসানো হয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে। বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রবিউল হাসান/জেএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।