বিচারককে কটূক্তি
দিনাজপুর আদালতে জামিন চাইতে গিয়ে কারাগারে মেয়র জাহাঙ্গীর
বিচারককে কটূক্তি করায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সাজাপ্রাপ্ত দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে দিনাজপুর জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হেঁটে আদালতে যান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। আত্মসমর্পণের পর জামিনের আবেদন করেন তিনি। দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে আদালতে যাওয়ার সময় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক আদেশে আমাকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও সাতদিনের কারাদণ্ড দেন। জরিমানার টাকা আগেই জমা দিয়েছি। আজ সেই আদেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করছি।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার একের পর এক ফরমায়েশি রায় দিয়ে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের জেলে পুরছেন। জেল-জুলুম ফাঁসি, মামলা হামলা দিয়ে এ সরকার তাদের পতন ঠেকাতে পারবে না।
১২ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় প্রসঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মেয়রের এক মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এছাড়া এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে দিনাজপুরের চিফ জুডিসিয়াল আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। অন্যথায় তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বিচারক।
মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম এর আগে ভিজিএফএর চাল ওজনে কম দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার হয়ে ছিলেন। তিনি তিনবার মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। পাঁচটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন। এছাড়া তিনি দিনাজপুর সরকারি কলেজে ১৯৯১ সালে অজয় হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। সেই মামলায় সাজাও হয়। পরে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় সেই সাজা থেকে রেহাই পান।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী বলেন, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে দুপুরেই কড়া নিরাপত্তায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এমদাদুল হক মিলন/এসজে/জিকেএস