কোচিংয়ের বিরোধিতা করে বরখাস্ত হওয়া সেই শিক্ষিকাকে পুনর্বহাল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৭:৪৪ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

নোয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধ কোচিং বাণিজ্যের বিরোধিতা করে বরখাস্ত হওয়া সহকারী শিক্ষিকা তাছলিমা বেগমের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামিমা আক্তারের উপস্থিতিতে ওই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) থেকে ওই শিক্ষিকাকে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদ রিয়াদ বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সুপারিশে সহকারী শিক্ষিকা তাছলিমা বেগমের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, দুই শিক্ষকের ভুল বোঝাবুঝিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করা হয়েছে।

এরআগে বুধবার (১১ অক্টোবর) নোয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদ রিয়াদ সই করা চিঠিতে সহকারী শিক্ষিকা তাছলিমা বেগমকে সাময়িক বরখাস্তের ওই আদেশ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) জাগোনিউজ২৪.কম-এ কোচিংয়ের বিরোধিতা করায় স্কুলশিক্ষিকা বরখাস্ত শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

চিঠিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং সহকারী প্রধানের সঙ্গে উচ্চস্বরে তর্ক করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রুপিং করা, চার বছরের সন্তানকে সঙ্গে করে বিদ্যালয়ে আনা, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিডিয়াসহ বাইরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা এবং শ্রেণিশিক্ষক হিসেবে আর্থিক অনিয়ম অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির ৫০০ শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে বাধ্য করে আসছেন। এজন্য মাসে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে সবার কাছ থেকে আদায় করছেন। কেউ টাকা দিতে না চাইলে শ্রেণিকক্ষের হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখানোসহ পরীক্ষা হলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

কোচিং করানোর জন্য প্রত্যেক শিক্ষককে সকাল ৮টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত এবং বিকেল ৫টার পর বাড়ি যেতে হয়। এমনকি শুক্রবারসহ ছুটির দিনেও সবাইকে বিদ্যালয়ে হাজির থাকতে বাধ্য করেন প্রধান শিক্ষক। তার এ নিয়মের বিরোধিতা করেন শিক্ষক তাছলিমা বেগম। এতে তার ওপর ক্ষিপ্ত হন প্রধান শিক্ষক।

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।