নারী মেম্বারকে ঘুসি মারলেন আওয়ামী লীগ নেতা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৬:৪৪ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মন্নান মুনাফ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে টিসিবির পণ্যের জন্য ছালেহা বেগম (৫১) নামে এক নারী ইউপি সদস্যকে ঘুসি মারার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে চাষীরহাট ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। আহত ইউপি সদস্যকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ছালেহা বেগম চাষীরহাট ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের মমিন উল্যাহর স্ত্রী। অভিযুক্ত আবদুল মন্নান মুনাফ (৬০) ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পোরকরা গ্রামের মোকাররম আলীর ছেলে।

ছালেহা খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, সকালে টিসিবির ডিলার ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে পণ্য দিতে আসেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মন্নান মুনাফ গত মাসের পণ্য পাননি বলে গালিগালাজ শুরু করেন। ওই মাল এখন দেওয়া হচ্ছে বলার পরও তিনি উত্তেজিত হয়ে সবাইকে গালমন্দ করেন। তাকে বারণ করা হলে তিনি আমাকে কিল-ঘুসি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ময়নামুল হক আমাকে রক্ষা করতে এলে তাকেও জুতা মেরে আহত করেন। বিষয়টি সোনাইমুড়ী থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মন্নান মুনাফ জাগো নিউজের কাছে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি। কিন্তু সরকার আমাকে বেতন দেয় না। গত মাসের পণ্য পাইনি। তাই ডিলারের লোকজনকে জিজ্ঞেস করার সময় মেম্বাররা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তাই একটু উত্তেজিত হয়ে পড়ি।

প্রত্যক্ষদর্শী টিসিবির ডিলার মো. মানিক বলেন, টিসিবির পণ্য কম থাকায় গত মাসের মালামাল আজ দেওয়া হচ্ছিল। গত মাসে পণ্য কেন দেওয়া হয়নি সে বিষয় নিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মন্নান গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তিনি নারী মেম্বার ছালেহা বেগমকে মারধর করেন এবং আরেক মেম্বারকে জুতা ছুড়ে মারেন।

চাষীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার সময় আমি নোয়াখালী সদরে ছিলাম। পরে শুনেছি আওয়ামী লীগ নেতা মুনাফ আমার পরিষদের মেম্বারদের গায়ে হাত তুলেছেন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্তে একজন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসমাইল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি কাজে অফিসের বাইরে ছিলাম। তবে বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।