৩ কিলোমিটার দূরত্বে চিঠি পৌঁছাতে সময় লাগলো একমাস!
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পোস্ট অফিস থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরত্বে একটি রেজিস্ট্রি চিঠি পৌঁছাতে সময় লেগেছে পুরো এক মাস। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট নেত্রকোনা শহরের কোর্ট স্টেশন পোস্ট অফিস থেকে একটি চিঠি রেজিস্ট্রি করা হয়। বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠির গন্তব্য বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৭ আগস্ট চিঠিটি মোহনগঞ্জ প্রধান ডাকঘরে পৌঁছে। কিন্তু সেই চিঠি তিন কিলোমিটার দূরত্বের ওই বিদ্যালয়ে পৌঁছে ৭ সেপ্টেম্বর। এতো স্বল্প দূরত্বে একটি চিঠি পৌঁছাতে একমাস সময় লাগায় পোস্ট অফিসে কর্মরতদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।
বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়ার বিষয়ে আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছিল। দেরিতে চিঠি পাওয়ায় তিনি এর জবাব দিতেও দেরি করেছেন। তবে পোস্ট অফিসের এমন গাফিলতি দুঃখজনক।
মোহনগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম রতন বলেন, ‘একটি রেজিস্ট্রি চিঠি তিন কিলোমিটার দূরে পৌঁছাতে একমাস সময় লেগেছে। এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা! গ্রহণকারী না পেলে চিঠি ফেরত যাবে কিন্তু এমন হওয়ার কথা নয়। এটি পোস্টমাস্টার ও পিয়নসহ সংশ্লিষ্ট সবার গাফিলতি।’
‘এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেন মোহনগঞ্জ প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার ওবায়দুল হক জিকু। তিনি বলেন, ‘পিয়ন চিঠি নিয়ে যথাসময়ে গিয়েছিল কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পায়নি। পরে ফোনে তিনি চিঠিটি পরে অফিস থেকে নেবেন বলে জানান। পরে এটি নিতে দেরি করে ফেলেছেন। আর এ বিষয়ে প্রেরকের কোনো অভিযোগও এখনো পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে জেলা প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহার বলেন, এমন দু একটি ঘটনা ডাকবিভাগের জন্য বিব্রতকর।
নেত্রকোনা জেলা পোস্ট অফিস পরিদর্শক আবু হেনা মুনাফিক করিম বলেন, এমন ঘটনা আমাদের ঐতিহ্যবাহী ডাকবিভাগের জন্য বিব্রতকর। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচ এম কামাল/এসআর/এএসএম