গোপালপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু পদত্যাগ করেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঠান্ডু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তিনি জানান, আমি গোপালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে চেয়ারম্যানের পদের দায়িত্ব পালন করতে পারছি না বিধায় আমি উক্ত পদ হতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। আমাকে গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ হতে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
দলীয় ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি টাঙ্গাইল-২ (ভুঞাপুর-গোপালপুর) আসন থেকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি গত (১৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাবর আবেদন করেন। পরে (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার বিভাগ উপজেলা চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: অনিয়মের অভিযোগে বিবিসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ
এ বিষয়ে ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বলেন, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম কিন্তু চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। আমি তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ভূঞাপুর-গোপালপুরের জনগণ আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান। জনগণের চাপের কারণে তফসিল ঘোষণার আগেই চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম আরা রিনি জানান, গোপালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাবর আবেদন করেছেন। পরে মন্ত্রণালয় পদত্যাগ গ্রহণ করেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মীর রেজাউল হক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
গোপালপুর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক জানান, আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছি। আমি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করবো।
আরিফ উর রহমান টগর/আরএইচ/জেআইএম