রংপুর
বেড়েছে আলু-ডিমের দাম, অপরিবর্তিত চাল-ডাল-পেঁয়াজ
রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আলু, ডিম, বেগুনসহ কিছু সবজির দাম। তবে কমেছে কাঁচামরিচ ও শিম। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, চিনি ও পোলট্রি মুরগির দাম।
নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা বেড়ে কার্ডিনাল আলু খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা ও পাইকারিতে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে বেড়েছে অন্য জাতের আলুর দামও। সাদা দেশি আলু ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫৮-৬০ টাক, শিল ৫০-৫৫ থেকে বেড়ে ৫৮-৬০ টাকা এবং ঝাউ আলু ১০ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের চেয়ে ১-২ টাকা বেড়ে ৪৯-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দেশি পেঁয়াজ গত সপ্তাহের দরেই ৭৫-৮০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রংপুরে এক সপ্তাহে ৮০ টাকা বাড়লো কাঁচা মরিচের দাম
এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে কাঁচামরিচের দাম। ২২০-২৪০ টাকা থেকে কমে ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। দেশি আদা নতুন ২৩০-২৪০ টাকা, ভারতীয় আদা ২০০-২২০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটো ১১০-১২০ টাকা, গাজর ১১০-১২০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৪৫-৫০ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা থেকে লাফিয়ে ৬৫-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৭৫-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৮৫-৯০ টাকা, পেঁপে আগের মতোই ২০-২৫ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১২-১৫ টাকা, শুকনা মরিচ ৫৫০-৬০০ টাকা, প্রতিপিস লাউয়ের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৬০-৭০ টাকা, ধনেপাতা ১২০-১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০-১৭০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৪০-৪৫ টাকা, ঝিঙে ৬৫-৭০ টাকা, দুধকুষি ৪০-৫০ টাকা, পটল ৪৫-৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৭০-৮০ টাকা, কচুরবইয়ের দাম বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, শিমের দাম কিছুটা কমে হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ১০০-১২০ টাকা, মুলা ৪৫-৫০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ২২০-২৪০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা হেলাল মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে আলু ৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। বাজারে আমদানি কমে গেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন: কাঁচা মরিচের ঝাল কমেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের সবজি
মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩০০-৩১০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৭০০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭০-১৭৫ টাকা এবং দুই লিটার ৩৫৮-৩৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল সামান্য কমে ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের দরেই ১৩৫-১৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০ টাকা ও খোলা আটা ৪৫ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৫০ টাকা এবং বুটডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে সরবরাহ কমের অজুহাত, বেড়েছে সবজির দাম
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/জেএস/এএসএম