তুলির আঁচড়ে সাজছে প্রতীমা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৩

দুয়ারে কড়া নাড়ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতীমা নির্মাণের কাজ। দম ফেলানোর ফুরসত নেই প্রতীমা শিল্পীদের। আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে মূল উৎসব।

গত বছর ৮৯টি মণ্ডবে পূজা হলেও এবার ৯০টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার ওচমানপুর ইউনিয়নের পূর্ব সাহেরবপুর গ্রামে নতুন একটি পূজা মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। তবে ৯০টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে ১০টিতে হবে ঘট ও স্থাতি পূজা (প্রতীমা বিহীন)।

আগামী ২০ অক্টোবর ৫ দিনব্যাপী দুর্গাপূজা শুরু হবে। এবার উপজেলার পূজা মণ্ডপগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। দুটি থানার অধীনে পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতীমা শিল্পীদের এখন নির্ঘুম রাত কাটছে। দম ফেলারও সময় নেই। রাতদিন এক করে শুধু কাজ চলছে।

মিরসরাই পৌরসভার (১ নম্বর ওয়ার্ড) মধ্য তালবাড়িয়ার সার্বজনীন শ্রী শ্রী রক্ষা কালী বাড়ি মন্দিরে প্রতীমা তৈরি করতে আসা সুশিল পাল বলেন, আমি প্রায় ৩০ বছর যাবৎ প্রতীমা তৈরি করে আসছি। এ বছর প্রায় ১৫টি প্রতীমার অর্ডার নিয়েছি। সবকটি প্রতীমার মাটির কাজ শেষ। এখন চলছে রঙের কাজ।

সুশিল পাল আরও বলেন, প্রতীমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে মাটি, খড়, পাট, কাপড়, বাঁশ ও রঙ। কারিগরের সুনিপুণ হাতের কাজ প্রতীমাকে আরও বেশি উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তোলে। কাজের আকার ভেদে একটি প্রতীমা তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন তিনি।

মধ্য তালবাড়িয়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী রক্ষা কালী বাড়ি মন্দির ও দূর্গা মন্দির (দেবত্ব) কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অভি রায় বলেন, দুর্গাপূজা সার্বজনীন। মিরসরাইয়ের মধ্যে আমাদের পূজাটি সেরা পূজা হবে আশা করছি। পূজা উদযাপন কমিটি ও গ্রামের সবার সহযোগিতায় পূজার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ সরকার বলেন, এবার মিরসরাই উপজেলায় ১০টি ঘট পূজাসহ ৯০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপের সভাপতি-সম্পাদক ও প্রশাসনের সঙ্গে পূজা উদযাপন পরিষদের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ ছাড়াও আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় গোয়েন্দা নজরদারিতে সিভিল টিম এবং আমাদের সাদা পোশাক পরিহিত পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজা সম্পন্ন করতে দু’একদিনের মধ্যে সব পূজা মণ্ডপের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হবে। প্রতিটি মণ্ডপে পর্যাপ্ত আইন-শংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। কয়েকটি টিম উপজেলার মণ্ডপগুলোতে নিয়মিত টহলে থাকবে।

এম মাঈন উদ্দিন/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।