১০ কেজি সোনার বার নিয়ে নদীতে ঝাঁপ, উঠতে না পেরে মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা 
প্রকাশিত: ১০:৫৩ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা নাস্তিপুর সীমান্তের মাথাভাঙ্গা নদীতে মিরাজ আলী (১৮) নামের এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহে বেল্টে বাঁধা অবস্থায় ছোট-বড় ৬৮টি সোনার বার পাওয়া গেছে। যার ওজন ১০ কেজি এবং বাজারমূল্য ৯ কোটি ২০ হাজার টাকা।

ধারণা করা হচ্ছে, ১০ কেজি সোনার বার নিয়ে নদীতে লাফ দেওয়ায় অতিরিক্ত ওজনের কারণে ওই তরুণ আর উঠতে পারেননি। এতে তার মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৮ অক্টোবর) বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্ত সংলগ্ন মাথাভাঙা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মিরাজ আলী দর্শনা থানার নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্ত সংলগ্ন মাথাভাঙা নদী থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

jagonews24.com

স্থানীয় কয়েকজন জানান, মিরাজ বিকেলের দিকে সহকর্মীদের নিয়ে নাস্তিপুর নদীর ঘাটের কাছে অপেক্ষা করছিলেন। পরে সীমান্তের ওপারে যাওয়ার উদ্দেশে নদীতে লাফ দিলে নিখোঁজ হন। পরে তার সহকর্মীরা বাড়িতে খবর দিলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গ্রামের ঘাট মোড়ে মরদেহ ভেসে ওঠে। মরদেহ ডাঙ্গায় তোলার পরপরই স্থানীয় ক্যাম্পের বিজিবি ও দর্শনা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। পরে মিরাজের কোমরে বিশেষ পদ্ধতিতে বেল্টের সঙ্গে বাধা অবস্থায় সোনার বার উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান জানান, নিহত তরুণের শরীর তল্লাশি করে ছোট-বড় ৬৮টি সোনার বার উদ্ধার করা করা হয়েছে। ময়নাতদ‌ন্তের জন্য মর‌দেহ ম‌র্গে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প‌রে রাত সাড়ে ৮টার দি‌কে তি‌নি জানান, মর‌দে‌হে বি‌শেষভা‌বে বেঁধে রাখা ১০ কে‌জি ২৬৩ গ্রাম সোনার বার পাওয়া গেছে। এর মূল্য ধরা হয়েছে ৯ কোটি ২০ হাজার টাকা।

হুসাইন মালিক/এসআর/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।