ইলিশের জালে ধরা পড়ছে পাঙ্গাশ, কেজি ৮০০

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁদপুর
প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৩

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় আর এক সপ্তাহ পরই আসবে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। তখন অবসর সময় পার করবেন জেলেরা। তাই বৃষ্টিতে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলেরা এখন দিন-রাত চষে বেড়াচ্ছেন নদী। ইলিশের পাশাপাশি জালে ধরা পড়ছে বড় ও মাঝারি সাইজের পাঙ্গাশ মাছ। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকায়। আর পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন ইলিশের আড়ৎগুলোতে দেখা গেলো ইলিশ ও পাঙ্গাশ কেনা-বেচার হাঁকডাক। তবে মুহূর্তের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ইলিশ। পাঙ্গাশ বিক্রি হয় একটু ধীর গতিতে।

চাঁদপুর শহর থেকে ইলিশ কিনতে আসা আব্দুল্লাহ জানান, এখানে তাজা ইলিশ পাওয়া যায়। কোনো ধরনের ভেজাল নেই। জেলেরা নিয়ে আসলে নিজে পছন্দ করে কেনা যায়। এক জেলের ধরে আনা ৫ হালি ছোট-বড় ইলিশ কিনেছি। দাম নিয়েছে ২ হাজার ৭৮০ টাকা।

ওই মাছঘাটের প্রবীণ মৎস্য ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বলেন, বৃষ্টিতে নদীতে পানি বেড়েছে। সাগর উত্তাল হওয়ায় সাগর থেকে অনেক জেলে নিরাপদে চলে এসেছে। ঠিক এই মুহূর্তে কিছু ইলিশ বিপরীতে অর্থাৎ সাগর থেকে নদীতে উজানের দিকে আসছে। তবে এটি আমার দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।

jagonews24

আরেক ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন বলেন, আজ কয়েকদিন বৃষ্টি বাড়ায় ইলিশ মাছ কিছুটা আমদানি বেড়েছে। আজ আমাদের আড়তে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ টন ইলিশ খুচরা ও পাইকারি বিক্রি হয়েছে। তবে এ বছর ছোট এবং বড় সাইজের ইলিশ বেশি। মাঝারি সাইজের ইলিশ খুবই কম পাওয়া যাচ্ছে। আর যারা গুল্টি জাল দিয়ে ইলিশ ধরে তাদের জালের ফাঁদে ছোট থেকে শুরু করে বড় সাইজের ইলিশ ও পাঙ্গাশ পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্যেক জেলেই কম-বেশি পাঙ্গাশ পাচ্ছেন।

এই আড়তের ব্যবসায়ী মো. হাসান বলেন, ছোট সাইজের ইলিশ প্রতিহালি বিক্রি হয় ৩৫০-৫৫০ টাকা। বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি করতে হয় কেজি হিসেবে। যে কারণে ৯০০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ইলিশ আজ বিক্রি হয়েছে ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা। তবে এসব ইলিশে কোনো বরফ দিতে হয় না। জেলেরা নিয়ে আসছেন আড়তে। মুহূর্তের মধ্যেই হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লোকজন মুহূর্তে এসব ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি ও নদীতে পানি বাড়লে ইলিশের প্রাপ্যতা কিছুটা হলেও বাড়ে। আর ঠিক এই মৌসুমটাতে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের বিচরণও বাড়বে। তবে আমরা এখন মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সচেতনতামূলক প্রচার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কারণ আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ।

 

শরীফুল ইসলাম/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।