জয়পুরহাটে ইউএনও পরিচয়ে লাখ টাকা দাবি
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি মোবাইল নম্বর নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে লাখ টাকা দাবি করেছে একটি প্রতারক চক্র। পরে উপজেলাবাসীকে সচেতন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ইউএনও মনজুরুল আলম।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুরাতন বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে ইউএনওর সরকারি নম্বর থেকে একটি কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে ইউএনও পরিচয় দিয়ে তাকে বলা হয়, ২০ টন গুটি স্বর্ণ এবং ১৫ টন হাইব্রিড ধানের একটি চালান আপনার কাছে বিক্রি করতে চাই।
তখন জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি তো ধানের ব্যবসা করি না স্যার। চাতাল ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ ভাইয়ের ছেলে তন্ময় ধান কেনাবেচা করেন, তার নম্বর নেন। ওই নম্বর থেকেই তন্ময়ের সঙ্গে কথা বলে দর দাম ঠিক করে ১ লাখ টাকা বিকাশ করে পাঠাতে বলে।
বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে তন্ময় ও জহুরুল একত্রে ওই নম্বরে ফোন করে বলেন, আমরা ১ লাখ টাকা নিয়ে ইউএনও অফিসে আসছি, তখন অপর প্রান্ত থেকে ডিসি অফিসে অবস্থান করছি বলে জানায়। পরবর্তীতে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলমকে জানানো হয়।
এদিকে, আক্কেলপুর কলেজ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি কাজী শফি উদ্দীনকেও ইউএনওর অফিসিয়াল নম্বর ক্লোন করে ইউএনও পরিচয়ে টাকা দাবি করে প্রতারক চক্র।
কাজী শফি উদ্দীন বলেন, বিকেলে ইউএনওর সরকারি নম্বর থেকে একটি কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে বলে, ২০ টন গুটি স্বর্ণা এবং ১৫ টন হাইব্রিড চাল আপনার কাছে বিক্রি করবো। ৩৭ টাকা কেজি হিসেবে টাকা নেওয়া হবে। এর জন্য বিকাশে ১ লাখ টাকা পাঠান। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে ইউএনও কার্যালয়ে ফোন দিলে বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো ফোন করেননি বলে জানানো হয়। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেন আমাকে ফোন করে বলেন এটা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কাজ। পরে ওই নম্বরে ফোন করে পরিচয় জানতে চাইলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রতারকরা।
ইউএনও মনজুরুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, কোন চক্র যাতে প্রতারণা না করতে পারে, সে বিষয়ে সবাইকে কঠোরভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে এবং ফেসবুকে সচেতন করে পোস্ট করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রতারক বা প্রতারক চক্রের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এসজে/জেআইএম