ধর্ষণের ১৯ বছর পর রায়, একজনের যাবজ্জীবন
নাটোরের লালপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের ১৯ বছর পর শাহানুর (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় করেন। শাহানুর লালপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১২জুলাই রাতে লালপুরে শাহানুর এক শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির চিৎকার শুনে বাবা মা ছুটে এলে সে ঘটনাটি তাদের জানায়। ২৬ জুলাই ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে নাটোরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শাহানুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। আদালত মামলার তদন্তভার লালপুর থানা পুলিশকে প্রদান করে। পরে থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম তদন্ত শেষে একই বছরের ২২ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই বছরই মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে আসে। কিন্তু সাক্ষীরা আদালতে আসতে গড়িমসি করেন। ১৯ বছরে মাত্র ৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক পরিচয়ে ফেনসিডিল পরিবহন, একজনের যাবজ্জীবন
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আনিসুর রহমান বলেন, মামলার বাদী দীর্ঘদিন আদালতে হাজির হননি। এছাড়া এই মামলায় মাত্র চারজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। ওই চারজন সাক্ষীদের দেওয়া সাক্ষ্য সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি শাহানুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। বর্তমানে আসামি পলাতক রয়েছেন।
রেজাউল করিম রেজা/জেএস/জেআইএম