সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে মা, দরকার সহযোগিতা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

 

সন্তান জন্মের খবরে আনন্দে দিন কাটছিল আনোয়ার হোসেন ও তানিয়া সুলতানা নামের এক দম্পতির। তবে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর জানতে পারেন গর্ভে থাকা সন্তান দুদিন আগেই মারা গেছে। এমনকি এরই মধ্যে গর্ভে থাকা শিশুটির শরীরে পচন ধরেছে। মাকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় সিজার। তবে সিজারের পর ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট বিট বন্ধ হয়ে যায় তানিয়ার। বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি।

আনোয়ার হোসেন ও তানিয়া সুলতানা কক্সবাজার শহরের পশ্চিম নতুন বাহারছড়ার বাসিন্দা। আনোয়ার হোসেন কক্সবাজার শহরের পশ্চিম নতুন বাহারছড়ার এক ক্ষুদ্র মাছ বিক্রেতা। বিভিন্ন স্টেশনে মাছ ফেরি করে বেড়ান তিনি। তার সামান্য আয়ে কোনো রকমে চলে তাদের সংসার। এরই মধ্যে আসে সন্তান আগমনের সুখবর। আর সেই সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে এখন তানিয়া নিজেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে তানিয়ার শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ হার্ট বিট স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তানিয়াকে লাইফ সাপোর্টে রাখতে হবে। তা না হলে যে কোনো সময় তিনি মারা যেতে পারেন।

আরও পড়ুন: সেই বৃদ্ধার ভাতার ব্যবস্থা করলেন ইউএনও

জানা যায়, ২০ সেপ্টেম্বর প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে তানিয়াকে কক্সবাজার শহরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেখানকার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক জানান তার গর্ভে থাকা বাচ্চাটি দুদিন আগেই মারা গেছে। এরই মধ্যে শিশুটির শরীরে পচন ধরেছে জানিয়ে রেফার্ড করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। এসময় চিকিৎসক অপারেশনের পরামর্শ দেন। কিন্তু ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে সিজার করাও বিপদজনক হয়ে উঠে। তাকে বাঁচাতে হলে সিজার আবশ্যক হয়ে উঠে। পরিবারের পরামর্শে সদর হাসপাতালে তানিয়ার অপারেশনের পর থেকে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট বিট বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকেই সদর হসপিটালের লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে তানিয়া।

তানিয়ার স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, ধার-দেনা করে এ পর্যন্ত দুই লাখ টাকা খরচ করেছি। প্রতিদিন তানিয়ার চিকিৎসার জন্য ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার প্রয়োজন যা আমার ও পরিবারের পক্ষে যোগাড় করা কষ্টসাধ্য। এখন স্ত্রীর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এখন যদি সবার সহযোগিতা পাওয়া যায় তাহলেই হয়তো তানিয়ার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

সায়ীদ আলমগীর/জেএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।