মুক্তিপণ না দেওয়ায় শিশুকে হত্যা, মরদেহ মিললো ডোবায়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মুক্তিপণ না পেয়ে ফাতেহা আক্তার (৭) নামের এক শিশুকে হত্যা করেছেন অপহরণকারীরা। পরে মরদেহ ডোবার পানিতে ফেলে রাখে হয়।
সোমবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শুঁটকিকান্দি গ্রামের একটি ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফাতেহা আক্তার ওই গ্রামের প্রবাস ফেরত বাছেদ মিয়ার মেয়ে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহত শিশুর ফুপাতো ভাই দরিয়াদৌলত গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে নাজিম (১৯) ও শুঁটকিকান্দি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিনকে (২১) আটক করেছে পুলিশ।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরে আলম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ জানায়, শিশুটি গত ৩০ আগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না। এরই মধ্যে ফোন করে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। তবে মুক্তিপণ দেয়নি পরিবার। বিষয়টি জানালে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ দুই তরুণকে আটক করে। তাদের দুজনের ফোনের শিশুটিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত চ্যাটিং (বার্তা আদান-প্রদান) পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শিশুটিকে হত্যার পর ডোবার পানিতে লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের দেখানো ডোবা থেকে শিশু ফাতেহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি নুরে আলম বলেন, আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শিশুটির পরিবার থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এএসএম