বেনাপোল বন্দর

ভারত থেকে এলো টিসিবির ২০১ টন পেঁয়াজ

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০২৩

উৎপাদন সংকটে ভারতের রপ্তানি মূল্যবৃদ্ধিতে এক প্রকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। তবে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে প্রথম চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২০১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সাতটি ট্রাকে এ পেঁয়াজ আসে।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ৩ হাজার ৮০০ টন মসুরের ডাল আর গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ৩ হাজার ২০০ টন মসুরের ডাল ও ৪ ডিসেম্বর ২ হাজার ২১১ টন পেঁয়াজ আমদানি করে টিসিবি।

জানা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি খরচ ৫৫ টাকা পড়লেও অর্ধেক মূল্যের বেশি ভর্তুকি দিয়ে এসব পেঁয়াজ টিসিবি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি মূল্যে খোলাবাজারে অন্য পণ্যের সঙ্গে কার্ডের মাধ্যমে বিক্রি করবে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে। দ্রুত যাতে পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় সব ধরনের সহযোগিতা করছে কাস্টম ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে নানান প্রতিবন্ধকতায় পেঁয়াজ আমদানি কমায় দিন দিন পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। তবে সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানিতে এবার দাম কমবে মনে করছেন বিক্রেতারা। গত বছর পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়েছিল ৪০ টাকার মধ্যে।

বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের কিছুটা স্বস্তি দিতে কয়েক বছর ধরে দেশের ১ কোটি ১ লাখ পরিবারের কাছে কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য বিক্রি করছে টিসিবি। খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে আছে দুই কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল ও পাঁচ কেজি চাল।

এসব নিত্যপণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের জোগান দিতে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। রোববার সাত ট্রাকে ২০১ টন পেঁয়াজ আসে বন্দরে। কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে ৫৫ টাকার মধ্যে। তবে সরকার অর্ধেকের কম দামে এ পেঁয়াজ তুলে দেবে নিম্ন আয়ের মানুষের হাতে।

এদিকে সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানিতে দেশীয় বাজারে দাম কমবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। এক সপ্তাহ আগে খোলাবাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।

বেনাপোল বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা হযরত বলেন, পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সরকারি পেঁয়াজ আমদানিতে কমতে পারে দাম।

সরকারের দেওয়া কার্ডধারী সাধারণ ক্রেতা জাবির হোসেন বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম বেশি। দ্রব্যমূল্যের এ চড়া বাজারে সরকারিভাবে আমদানি পেঁয়াজ কম দামে কিনতে পারবো।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জাগো নিউজকে বলেন, খাওয়ার উপযুক্ত হওয়ায় বন্দর থেকে পেঁয়াজের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জাগো নিউজকে বলেন, দ্রুত যাতে টিসিবির পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় এজন্য ২৪ ঘণ্টা বন্দর সচল রেখে কাজ করা হচ্ছে।

মো. জামাল হোসেন/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।