গ্রামের মানুষদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সংসদ ভবন দেখাচ্ছেন হুইপ আতিক
গ্রামের দিনমজুর, ভ্যানচালক আর তৃণমূলের নেতারা একসঙ্গে ঘুরে দেখছেন জাতীয় সংসদ ভবন! বিষয়টি হয়তো অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। তবে এমনই ঘটনা ঘটছে।
সরকারদলীয় হুইপ ও টানা পাঁচবারের এমপি আতিউর রহমান আতিকের উদ্যোগে তার নিজ আসন শেরপুরের প্রান্তিক মানুষ আর তৃণমূলের নেতারা ঘুরে দেখছেন সংসদ ভবন। টানা ১৫ দিনের শিডিউল নিয়ে শেরপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সংসদ ভবন ঘুরিয়ে দেখাচ্ছেন এমপি।
প্রতিদিন ভোরে ৪-৫টি বাসে করে শেরপুর থেকে গ্রামের মানুষ ও তৃণমূলের নেতারা যাচ্ছেন সংসদ ভবন দেখতে। সংসদ ভবনের চারদিক ও ভেতরের দৃশ্য ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখান হুইপ আতিক নিজেই। ক্যান্টিনে একসঙ্গে বসে খান দুপুরের খাবার। সংসদে নিজের কক্ষে বসে তাদের সঙ্গে করেন আলাপচারিতা। এ ভিন্নধর্মী উদ্যোগে আপ্লুত তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। সংসদে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তারা।
ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা বলেন, হুইপের এ উদ্যোগ তার নিজের নেতৃত্বের গুণাবলীর বহিঃপ্রকাশ। তার এ উদ্যোগের কারণে গ্রামের সাধারণ মানুষ আজ সংসদ ভবনে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এটা অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো।
কৃষক জমশেদ মিয়া বলেন, ‘একজন চাষাভুষা মানুষ হয়েও ঢাকায় জাতীয় সংসদে যাচ্ছি। এটা বিশ্বাসই হবার চাইতেছে না। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া জানাই। হুইপের প্রতি আমগোর অনেক দোয়া। তিনি আমগোরে এই ব্যবস্থা করে দিছেন।’
ভাতশালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার বলেন, ‘আমাদের এলাকার মুরব্বিরা হুইপের কাছে আবদার করেছিলেন, তিনি সংসদে কোথায় বসেন সে জায়গাটি দেখানোর জন্য। তিনিও কথা দিয়েছিলেন, সবাইকে সংসদে নিয়ে যাবেন। তাই তিনি শুধু আমাদের এলাকার না, পুরো শেরপুরের ১৪টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের নেতাসহ যারা যেতে আগ্রহী সবাইকেই নিয়ে যাচ্ছেন।’
ভোটের রাজনীতিতে অভিনব এ উদ্যোগ বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সুশীল সমাজও। শেরপুর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার বলেন, প্রতিটা মানুষেরই আগ্রহ থাকে, স্বপ্ন থাকে সংসদ ভবন কাছে থেকে দেখার। হুইপ আতিক শেরপুরের সর্বোস্তরের মানুষের এ স্বপ্নটা এবার সফল করলেন। এ উদ্যোগ অবশ্যই ভোটের রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।
এ বিষয়ে হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেন, আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল সবাইকে নিয়ে সংসদে আসবো। আমি যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপাকে বিষয়টি বলেছি, তিনি নিজেও স্বাচ্ছন্দ্যে অনুমতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৫ দিনের শিডিউল নিয়েছি। প্রতিদিন সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে বসে খাচ্ছি। নিজের বাবা-মাকে আনতে পারিনি। যারা আমাকে ভোট দিয়ে এ সংসদে পাঠান, তাদের আনতে পেরেই আমি ধন্য।
ইমরান হাসান রাব্বী/এসআর/জিকেএস