হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:১৮ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আবু সাঈদ নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ (দ্বিতীয় আদালত) আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের অতিরিক্ত পিপি জেবুন্নেছা রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আটজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শাহজাদপুর উপজেলার টেকুয়াপাড়া গ্রামের তাজের ফকিরের ছেলে আব্দুস সালাম ও তার ছেলে আজিজুল ইসলাম এবং তাজের ফকিরের ভাই আবুল কালাম ও তার ছেলে বোরহান উদ্দিন।

বেকসুর খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন শাহজাদপুর উপজেলার টেকুয়াপাড়া গ্রামের মহসীন রেজা, আব্দুস কুদ্দুস, তয়জাল, আলেয়া বেগম, ময়না খাতুন, রেখা খাতুন, বুলবুলি খাতুন ও ইদ্রিস আলী।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার টেকুয়াপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের সঙ্গে প্রতিবেশী (মামলার বাদী) জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ জেরে ২০০৫ সালের ২২ এপ্রিল আসামিরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জমায়েত হন। তারা জোর করে সীমানা প্রাচীর সরাতে গেলে জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন বাধা দেন। এতে আসামিরা তাদের পিটিয়ে আহত করেন। পরে জাহাঙ্গীরের বাবা আবু সাঈদের ওপর হামলা করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে আবু সাঈদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।

এম এ মালেক/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।