আলমগীর হত্যা
পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন, গৃহবধূর ৭ বছরের কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে আলমগীর হত্যা মামলায় গৃহবধূ ইয়ানুর বেগমকে সাত বছর ও তার পরকীয়া প্রেমিক আবদুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ইয়ানুরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং আব্দুর রাজ্জাককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন। তবে অপর আসামি ইয়ানুর পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়ানুর ও আব্দুর রাজ্জাক সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চরচামিতা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম আলমগীর হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চরচামিতা গ্রামের লাতু মিয়ার ছেলে। ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর রাতে সদর উপজেলার চরচামিতা এলাকায় আলমগীর হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ একটি ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। পরদিন মরদেহ উদ্ধার হলে ১৫ অক্টোবর চন্দ্রগঞ্জ থানায় নিহতের বাবা লাতু মিয়া বাদী হয়ে ইয়ানুর ও আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। একই বছর ৩ ডিস্বম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ইয়ানুর ও আব্দুর রাজ্জাকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনাটি আলমগীর জেনে যাওয়ায় ইয়নুর ও আব্দুর রাজ্জাক পরিকল্পিতভাবে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
কাজল কায়েস/এএইচ/জিকেএস