রংপুর

বৃষ্টির অজুহাতে বেড়েছে সবজির দাম, সুখবর নেই পেঁয়াজ-মরিচেও

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ১০:২২ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রংপুরে বৃষ্টির অজুহাতে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দামও। এছাড়া আলু পাইকারিতে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, ডিম ও পোলট্রি মুরগির দাম।

রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের চেয়ে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫-৮০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে কাঁচামরিচ ১৪০-১৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫৫-১৬০ টাকা। তবে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের মতোই ৪৮ টাকা রয়েছে।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গাজর ১২০-১৩০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৪৫-৫০ টাকা, চিকন বেগুন ৩০-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, গোল বেগুন ৬০-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫-৮০ টাকা, পেঁপে আগের মতোই ২৫-৩০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১০-১২ টাকা, প্রতিপিস লাউ (আকারভেদে) ৪০-৪৫ টাকা, ধনেপাতা ২৮০-৩০০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, ঝিঙে ৫৫-৬০ টাকা, দুধকুষি ৩৫-৪০ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, কচুরলতি ৭০-৮০ টাকা, কচুরবই ৫৫-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, শিমের দাম বেড়ে ২৩০-২৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০-৫৫ টাকা, ফুলকপি ৮০-৯০ থেকে বেড়ে ১০০-১২০ টাকা, মুলা ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: নির্ধারিত দামে মিলছে না আলু-পেঁয়াজ

তবে কমেছে কিছুটা টমেটোর দাম। প্রতিকেজি টমেটোর দাম ১২০ টাকা থেকে কমে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি আদা ২৬০-২৮০ টাকা ও ভারতীয় আদা ২২০-২৪০ টাকা, দেশি রসুন ২৬০-২৮০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলুর দাম ৪০ টাকা, সাদা দেশি আলু আগের মতোই ৫৫-৬০ টাকা এবং শিল ও ঝাউ আলু ৫৫ টাকা টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল গফুর বলেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে সবজিতে। বাজারে সবজির আমদানি যথেষ্ট নয়। এ কারণে দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বাড়তি।

একই বাজারের সবজি বিক্রেতা হেলাল মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে কার্ডিনাল আলু ৩৬-৩৭ টাকা। পরিবহন খরচ হিসেব করে লাভ সীমিত হলেও আলু ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: শিবচরের ৫ দোকানি গুনলেন জরিমানা

মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির দাম সামান্য কমে ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৭০০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭০-১৭৫ টাকা এবং দুই লিটার ৩৫৮-৩৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের দরেই ১৩০-১৩৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫-৬০ টাকা ও খোলা আটা ৫০ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা এবং বুটডাল ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজির দাম

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/জেএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।