জামালপুরের গান্ধী আশ্রমে চারদিনের লোকজ উৎসব

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ১২:৪৩ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জামালপুরের মেলান্দহে অনুষ্ঠিত হয়েছে চারদিন ব্যাপী লোক সংস্কৃতি উৎসব ও লোকজ মেলা। ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

‘বাঙালির অফুরান প্রাণশক্তি’ স্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাশহাটিয়া গ্রামে অবস্থিত গান্ধী আশ্রম ও মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘরের উদ্যোগে মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নানা চিত্র তুলে ধরতে প্রথমবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে গ্রামীণ অবয়বে সেজেছিল মুক্তির সংগ্রাম প্রাঙ্গণের চারপাশ। মেলায় বাংলার পোড়ামাটি, বাংলার লোক ঐতিহ্য, নকশী কাঁথা, কাপড়ের পুতুল, খেলনা ও বাদ্যযন্ত্র, তামা-কাঁসা-পিতলের কারুশিল্প, বাঁশের কারুশিল্প, বেতের কারুশিল্প, জেলেদের জাল বোনা, নকশীকাঁথা সেলাইসহ বিভিন্ন কারুশিল্পীর প্রায় ৫০টি স্টল অংশ নিয়েছে।

জামালপুরের গান্ধী আশ্রমে চারদিনের লোকজ উৎসব

আরও পড়ুন: রংপুরে নৌকা বাইচে মানুষের ঢল

উৎসবে বাউল গান, পালাগান, যাত্রাপালা, লালনগীতি, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, জারি সারি, হাছন রাজার গান, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, ঘাটু গান, পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। চারদিন ধরে চলা এই উৎসবে দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে। বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রোববার রাতে শেষ হয়েছে উৎসবের মূল পর্ব।

লোকজ উৎসব দেখতে এসে মো. রবিউল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, বোরহান উদ্দিনসহ আরও অনেকে জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন পর এমন উৎসব দেখে কিছুক্ষণের জন্য হলেও তারা গ্রামীণ পরিবেশে ফিরে যেতে পেরেছি। বিভিন্নভাবে এই উৎসবটিকে ফুটিয়ে তোলায় আয়োজক কমিটিকে অনেক ধন্যবাদ। এছাড়াও এই উৎসবের মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম অনেককিছুই জানতে পেরেছে। আমরা চাই প্রতিবছরই যেন এ উৎসবটির আয়োজন করা হয়।

জামালপুরের গান্ধী আশ্রমে চারদিনের লোকজ উৎসব

আরও পড়ুন: বোল বামের মহা পুণ্যস্নানে ভক্তদের ঢল

মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘরের ট্রাস্টি ও এই উৎসবের প্রধান সমন্বয়ক হিল্লোল সরকার জাগো নিউজকে বলেন, এই আয়োজনের সঙ্গে জেলার সব মানুষ একাত্মতা ঘোষণা করে উৎসবে মেতে উঠেছে। বাঙালির হারানো গৌরব ও ঐতিহ্য এই উৎসবের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। চারদিন ব্যাপী চলা এই উৎসবে লাঠিখেলা, সারি গান, ধোয়া গান, মালচি গান, লোক কিচ্ছাসহ নানা ধরনের আচার অনুষ্ঠান উঠিয়ে আনা হয়েছে। আমরা চাই প্রতিবছর এই উৎসবটি চালিয়ে যেতে।

মো. নাসিম উদ্দিন/জেএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।