সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, সকালে মিললো গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ
সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। আর পরেরদিন সকালে শয়নকক্ষের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় স্ত্রীর মরদেহ। অথচ মাত্র সাত মাস আগে আগের স্বামী ছেড়ে তোয়াকুল ইউনিয়নের জাঙ্গাইল (বীরকুলি) গ্রামের সাইফুর রহমানকে (৩০) ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সেলিনা আক্তার (২৪)।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে সাইফুর রহমান পলাতক। এর আগে তার ২-৩টি বিয়ে হয়েছিল।
নিহত সেলিনা আক্তারের বাবা চান মিয়ার অভিযোগ, তার মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখেন স্বামী সাইফুর রহমান।
চান মিয়া বলেন, প্রায় সাত মাস আগে তার মেয়েকে আগের স্বামীর ঘর থেকে ফুসলিয়ে এনে বিয়ে করেন সাইফুর। আগের স্বামীর ঘরের সেলিনা আক্তারের দুটি মেয়ে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সিলেটের গোয়াইনঘাটে পারিবারিক বিষয় নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সেলিনার সঙ্গে সাইফুরের ঝগড়া হয়। ঝগড়া শেষে তারা প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়েন। পরেরদিন রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘুম থেকে ওঠে সেলিনার স্বামী সাইফুর রহমান চিৎকার দিয়ে আশপাশের লোকজনকে জড়ো করে বলেন- তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বাড়ির লোকজন এসে দেখতে পান, সেলিনা আক্তারের দেহ বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত। এসময় তারা বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হেলাল উদ্দিনের মাধ্যমে পুলিশকে জানান।
সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) নির্মল চন্দ্র দেব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক সাইফুর।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল জাগো নিউজকে জানান, নিহতের পরিবারের অভিযোগ মেয়েটিকে তার স্বামী হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা চান মিয়া মামলা করবে বলে জানিয়েছেন।
এসএএমডি/জেডএইচ/