৫ বিড়াল হত্যা
শেষ হলো ময়নাতদন্ত, মামলা প্রক্রিয়াধীন
পাবনার ঈশ্বরদীতে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পাঁচটি পোষা বিড়াল মেরে ফেলার ঘটনায় তদন্ত চলছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদী প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে বিড়ালের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান বসির।
এরআগে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঈশ্বরদী শহরের শেরশাহ রোড (কাঁঠালতলা) এলাকায় পাঁচ পোষা বিড়াল হত্যার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওহিদুজ্জামান দুলালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন বিড়ালের মালিক স্কুলশিক্ষিকা সায়েদা খায়রুন্নাহারের স্বামী শেখ ওয়াহেদ আলী সিন্টু।
বিড়ালগুলোর মালিক স্কুলশিক্ষিকা সায়েদা খায়রুন্নাহার জানান, তার বাসার পোষা পাঁচটি বিড়াল বুধবার বিকেল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাতে পাশের বাড়ির ওহিদুজ্জামান দুলালের উঠানে তিনটি বিড়াল মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বড় বিড়ালটি উঠানে বিষের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। বিড়ালটিকে বাড়িতে এনে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনজেনশন দেওয়া হয়। তারপরও বিড়ালটিকে বাঁচানো যায়নি। এছাড়া আরও একটি বিড়ালের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে অভিযোগ জানালে ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক হাসান বসির ঘটনাস্থলে আসেন।
আরও পড়ুন: বিষ খাইয়ে ৫ বিড়াল হত্যা, পুলিশ ডাকলেন মালিক
সায়েদা খায়রুন্নাহার বলেন. ‘বিড়ালগুলোকে দুধ, ভাত, মাছ খাইয়ে নিজের সন্তানের মতো অতি আদর-যত্নে লালন-পালন করেছি। বড় বিড়ালটির দুটি ছানা আছে। এর মধ্যে একটি বয়স মাত্র আটদিন। তার চোখ ফোটেনি। বিড়াল হত্যার মতো অমানবিক কাজ যে ব্যক্তি করেছেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
শেখ ওয়াহেদ আলী সিন্টু জাগো নিউজকে বলেন, ‘পাশের বাড়ির ওহিদুজ্জামান দুলালের মুরগি বেজিতে নিয়ে যায়। সেজন্য তিনি একটি মরা মুরগি কেটে মাংস টুকরা টুকরা করে বাড়ির আঙিনার চারপাশে ছিটিয়ে দেন। আমাদের বাড়ির পোষা পাঁচটি বিড়াল সে মাংস খেয়ে মারা যায়। এতে আমার পরিবারের সবাই খুব মর্মাহত।’
সেন্টু বলে, ‘তিনি (ওহিদুজ্জমান) এরআগেও এভাবে বেশ কয়েকটি বিড়াল হত্যা করেছেন। তার একের পর এক নিরীহ প্রাণী হত্যা মেনে নেওয়া যায় না। তাই তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি।’
অভিযুক্ত অহিদুজ্জামান দুলালের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বেজির অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে বিষ মেশানো মুরগির মাংসের টুকরা করে ছিটিয়ে দিয়েছিলাম। সেগুলো খেয়ে বিড়ালগুলো মারা গেছে। তবে এটা আমি ইচ্ছাকৃতভাবে করিনি। বিড়ালগুলো মারা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।’
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জাগো নিউজকে বলেন, পাঁচটি বিড়াল হত্যা ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেয়ে বিড়ালের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শেখ মহসীন/এসআর/এএসএম