অনুমোদন ছাড়াই সিটি স্ক্যান, গুনতে হলো লাখ টাকা জরিমানা
সরকারি অনুমোদন ছাড়াই সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হচ্ছে কুমিল্লা আদর্শ হাসপাতালে। একই সঙ্গে অপারেশনের অনুমোদন থাকলেও ওটি ইনচার্জের (অপারেশন থিয়েটারের দায়িত্বরত কর্মকর্তা) নেই কোনো সনদ। তিনি এইচএসসি পাস করেই এ দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে হাসপাতালটিকে এক লাখ টাকা এবং ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। একই সঙ্গে সিটি স্ক্যান রুমটি স্থায়ী ভাবে সিলগালা ও ওটি ইনচার্জ সুজনকে ওই পদ থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল টিম ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানের পর এসব তথ্য পাওয়া যায়।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মেহেদী হাসান জাগো নিউকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রোগীর আনা ওষুধ ব্যবহার হয় না অপারেশনে
তিনি জানান, বিকেল ৩টার দিকে নগরীর মনোহরপুর এলাকায় কুমিল্লা আদর্শ হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত দামের তুলনায় রোগীদের থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বেশি দাম রাখা, অনুমোদন ছাড়াই সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা, এক্স-রে রুমে রশ্মি নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে হাসপাতালটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সাময়িকভাবে এক্স-রে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থায়ীভাবে সিলগালা করা হয়েছে সিটি স্ক্যান রুম। ওটি ইনচার্জ সুজনকে তাৎক্ষনিক প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
একই দিনে অতিরিক্ত দামে স্বাস্থ্য পরীক্ষার অভিযোগে কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর এলাকায় জেলা সদর হাসপাতালের পাশের ক্লাসিক কনসালটেশন অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মেহেদী হাসান, ডা. মো. আবদুল কাইয়ুম এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
জাহিদ পাটোয়ারী/জেএস/জিকেএস