ধানক্ষেতে মিললো ইজিবাইকচালকের মরদেহ
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পর পরিচয় মিলেছে। ওই ব্যক্তির নাম মুকুল হোসেন (৩৮)।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) তার মরদেহ শনাক্ত করেন স্ত্রী ও স্বজনরা। মুকুল শাজাহানপুর উপজেলার খাদাশ এলাকার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে। শেরপুর উপজেলার বাঘমারা এলাকার মোমিন পার্ক (সাউদিয়া) সংলগ্ন পুকুরপাড় এলাকায় শশুড়বাড়িতে থাকতেন। পেশায় তিনি ইজিবাইকচালক।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে শেরপুর থেকে ইজিবাইকসহ নিখোঁজ হন মুকুল। শনিবার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চাকলমা থেকে কল্যাণনগর রাস্তারধারে ঠাকুরান পুকুর বড়চাপরা এলাকার ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলায় ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তার ইজিবাইকটি পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু (ইউডি মামলা) দায়ের হলেও ঘটনাটি হত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে বোনের বিয়েতে এসে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
জানা গেছে, ইজিবাইক চালক মুকুলের সঙ্গে তার স্ত্রীর বনিবনা ছিল না। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। সম্প্রতি শেরপুর থানা থেকেও স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ মিটিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকদিন পরেই মুকুলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি রহস্যজনক। ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পর হত্যা, মৃগীরোগের কারণে হঠাৎ মৃত্যু, নাকি স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না থাকায় পরিকল্পিতভাবে কেউ ঘটনাটি ঘটিয়েছে এ রহস্য উন্মোচনে পৃথক তদন্তে নেমেছে নন্দীগ্রাম ও শেরপুর থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক জিয়াউর রহমান রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধারের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ধারণা প্রকাশ করতে চাননি।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি, তদন্ত চলছে। শুক্রবার দুপুরে শেরপুরের বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হন মুকুল। পরদিন নন্দীগ্রামে ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইজিবাইকটি পাওয়া যায়নি। সে কি কারণে বা কিভাবে এখানে এসেছে এবং তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জেএস/জেআইএম