ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষককে শোকজ

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: ০৭:২১ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে অভিযুক্তকে শোকজ করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী সাত দিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের লোকজন ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো এবং পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আশেকুজ্জামান ডালিম। তিনি পার্শ্ববর্তী হাকিমপুর উপজেলার বাসিন্দা এবং ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার নুরজাহানপুর অব. সামরিক কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের ক্লাস শেষে সহকারী শিক্ষক আশেকুজ্জামান ডালিমের কাছে প্রাইভেট পড়তো ওই ছাত্রী। পারিবারিক অভাব -অনটনের কারণে মাঝে কিছু সময় প্রাইভেট পড়া বাদ দিয়েছিল। গত ২ সেপ্টেম্বর ছাত্রীর বাবাকে ফোন করে প্রাইভেটে না আসার কারণ জানতে চান শিক্ষক ডালিম। পরের দিন থেকে মেয়েকে প্রাইভেটে পাঠাতে বলেন ওই শিক্ষক। ৪ সেপ্টেম্বর স্কুল শেষে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায় ভুক্তভোগী ছাত্রী। ওইদিন তাকে শ্লীলতাহানি করেন শিক্ষক আশেকুজ্জামান ডালিম।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে কান্না করতে করতে বাড়িতে এসেছে। এখন ভয়ে সে স্কুলে যেতে চাইছে না। ঘটনার পরদিন আমি মেয়ের সঙ্গে গিয়ে প্রধান শিক্ষককের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। আজও আমি মেয়েকে স্কুলে রেখে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল ওই শিক্ষককের পক্ষ থেকে কয়েকজন লোক বাড়িতে এসেছিল। তারা বলেছে, এসব জানাজানি হলে আমার মেয়ের বিয়ে হবে না। তাই নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে নিতে বলেছে। তবে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। স্কুলে বিচার না পেলে আমরা ওপর মহলে বিচার দেবো।’

ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক আশেকুজ্জামান ডালিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শ্রেণিকক্ষে আছেন বলে জানান। পরে তিনি বলেন, ‘আমাকে শোকজের কাগজ হাতে পেয়েছি। এসব ঘটনা মিথ্যা।’

এ বিষয়ে নুরজাহানপুর অব. সামরিক কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমল কুমার কণ্ঠ বলেন, ‘ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করাসহ সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। অভিযোগ পেলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

মাহাবুর রহমান/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।