একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম, নাম রাখলেন আলিফ-লাম-মিম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৯:২২ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লালমনিরহাটের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন শারমিন বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূ। জন্মের পর তাদের নাম রাখা হয়েছে আলিফ, লাম ও মিম।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে মনোয়ারা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর আলম বলেন, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক প্রসূতি তিনটি সন্তান জন্ম দেন। বর্তমানে মা ও তিন শিশু সুস্থ রয়েছেন।

এর আগে শনিবার রাতে মনোয়ারা ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিন সন্তানের জন্ম হয়। এদের মধ্যে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

গৃহবধূ শারমিন বেগম কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের জাকলাটারি গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী রাশিদুল ইসলাম রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।

আরও পড়ুন: একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম, হাসপাতালে মানুষের ভিড় 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শারমিন বেগম অসুস্থ হলে কুড়িগ্রামের এক চিকিৎসককে দেখান রশিদুল ইসলাম। পরে সেখানকার চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুটি যমজ সন্তানের কথা বলেন। বিষয়টি জানার পর স্বামী রশিদুল ইসলাম এক আত্মীয়ের মাধ্যমে লালমনিরহাট টিএনটি রোডের মনোয়ারা ক্লিনিকে ভর্তি করান। সেখানে শনিবার রাতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন সন্তানের জন্ম দেন শারমিন বেগম। এর পর পরিবারের লোকজন তিন সন্তানের নাম রাখেন আলিফ, লাম ও মিম। তাদের মধ্যে লাম অসুস্থ হলে তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে দুই সন্তান ও তাদের মা সুস্থ আছেন।

মনোয়ারা ক্লিনিকের ওয়ার্ড বয় রফিকুল ইসলাম বলেন, জন্ম নেওয়া তিন শিশুর মধ্যে একজন অসুস্থ হলে সকালে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে রাতে ওই শিশুটিকে আবার ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়েছে।

ওই ক্লিনিকের প্রসূতি ও গাইনী চিকিৎসক রেজিয়া আক্তার বলেন, এ ক্লিনিকে প্রথম এক মা তিন সন্তান জন্ম দিলেন। আলহামদুলিল্লাহ সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক সমমান) ডা. মো. রমজান আলী জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। বর্তমানে অনেক গর্ভবতী মা তিন সন্তান জন্ম দিতে পারেন।

রবিউল হাসান/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।