পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামীর গোপনাঙ্গ জখম করে পালালেন স্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বরগুনার আমতলীতে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামীর (৪০) গোপনাঙ্গ জখম করে পালানোর অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর (৩৫) বিরুদ্ধে। আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্বজনরা জানান, ২০০৫ সালে তাদের বিয়ে হয়। কয়েক বছর আগে স্ত্রী একই এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এতে স্বামী নিষেধ করলেও তিনি শোনেননি। উল্টো প্রেমিকের নির্দেশে স্বামীকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ব্যক্তির স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। এতে স্বামী বাধা দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে গভীর রাতে ঘুমন্ত স্বামীকে যাতা দিয়ে মাথায় আঘাত এবং গোপনাঙ্গ টেনে ছিঁড়ে রক্তাক্ত জখম করেন ওই নারী। এসময় আহত ব্যক্তির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে স্ত্রী পালিয়ে যান।

আহত ব্যক্তি বলেন, ‘আমার স্ত্রী গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এতে বাধা দিলে আমাকে বেশ কয়েকবার হত্যাচেষ্টা করেছে। সবশেষ বৃহস্পতিবার রাতে ওই ব্যক্তির নির্দেশে আমাকে হত্যা করতে যাতা দিয়ে মুখে আঘাত এবং গোপনাঙ্গ টেনে ছিঁড়ে রক্তাক্ত জখম করে আমার স্ত্রী। আমি তার উপযুক্ত শাস্তি চাই।’

অভিযুক্ত নারী পলাতক ও তার ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তার কথিত প্রেমিক পরকীয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মারধরের ঘটনা শুনেছি। আমার সঙ্গে ওই নারীর মোবাইলে কথা হতো। তবে তেমন কোনো সম্পর্ক নেই।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জায়েদ আলম ইরাম বলেন, রোগীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তার গোপনাঙ্গের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।