দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে পারিনি, তবে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না: সাদিক
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে পারিনি, তবে চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় একটি পরিকল্পিত, সবুজ, পরিচ্ছন্ন ও স্মার্ট নগরী গড়ার জন্য বিগত ৫ বছর কাজ করেছি। যদিও দু’বছর করোনায় নষ্ট হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, সিটি করপোরেশনকে একটি স্বনির্ভর, সুশৃঙ্খল ও দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। মেয়র হিসেবে সফলতা বা ব্যর্থতার হিসাব নগরবাসীর ওপর অর্পণ করলাম। দায়িত্ব পালনের সময় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন বরিশালের মেয়র
সিটি করপোরেশনের সচিব মাসুমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন লিটু, রফিকুল ইসলাম খোকনসহ কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। তবে ১১ কাউন্সিলর বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে অংশ নেননি।
এ অর্থবছরের জন্য নতুন করে কর আরোপ ছাড়াই ৪৪২ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৮৭ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র। একই সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১৭১ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজার ২৮১ টাকার সংশোধিত বাজেট ঘোষণা করেছেন।
বাজেট বক্তৃতায় জানানো হয়েছে, চলতি বাজেটে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৩৪৯ দশমিক ৫৬ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। যার মধ্যে নিজস্ব আয়ে ৬৭ কোটি, সরকারি বিশেষ বরাদ্দ ৩৬ কোটি এবং ২৪৬ কোটি টাকা সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেট ঘোষণায় মেয়র বাজেটে আয়ের উৎস হিসেবে রাজস্ব খাত থেকে ১২৫ কোটি টাকা, উন্নয়ন খাতে সরকারি অনুদান ৩৬ দশমিক ৫ কোটি টাকা, রাজস্ব খাতে সরকারি অনুদান ১১ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা, সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প ২৪৬ কোটি টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে নিজস্ব উৎস থেকে আহরিত ১২৫ কোটি টাকা, যা বাজেটের প্রায় ৪ ভাগের একভাগ। বাকি সমুদয়, বিভিন্ন প্রকল্প এবং সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ
অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ১১৯ কোটি, করপোরেশনের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ৫৩ দশমিক ১৩ কোটি টাকা, পরিবেশ উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজে ৯৭ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা, সামাজিক সুরক্ষায় ৮ দশমিক ২৯ কোটি, খাল ও পুকুর সংরক্ষণে ২৮ কোটি টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প হিসেবে ২৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভার্ট নির্মাণে ১১ কোটি টাকা, টিবির পুকুর সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে ১০ কোটি, ওয়ার্ড ভিত্তিক শিশুপার্ক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে ১০ কোটি টাকা, বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামের বাকি অংশ নির্মাণ ৩০ কোটি টাকা, রুপাতলী ও বেলতলা সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট পুনঃস্থাপন প্রকল্প ৫০ কোটি টাকা, জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য উন্নয়ন প্রকল্প ৬০ কোটি টাকা ও খালপাড় সংরক্ষণ প্রকল্প ২৫ কোটি টাকা।
শাওন খান/আরএইচ/জেআইএম