কুড়িগ্রামে বাঁধে ধস, ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৭:৪৬ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাঁচকোল এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা বাঁধের ৩০ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। এতে ভাঙন হুমকিতে পড়েছে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল, সড়কটারী দক্ষিণওয়ারীসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। ফসলি জমি ও ঘর-বাড়ি নিয়ে আতঙ্কে আছে মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে বাঁধে ধস নামা শুরু হয়। তবে বাঁধের ধস ঠেকাতে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে রক্ষার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে ব্রহ্মপুত্রের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের আওতায় ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বৃহস্পতিবার সকালে সৃষ্ট বন্যায় হঠাৎ পানির চাপে বাঁধে ধস দেখা দেয়। বাঁধের এমন ধসে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, বাঁধটি দ্রুত মেরামত করা না হলে বন্যার পাশাপাশি ভাঙনের কবলে পড়ে আবারও ঘর-বাড়ি হারাতে হবে। বালু পড়ে নষ্ট হয়ে যাবে একরের পর একর ফসলি জমি।

কাঁচকোল এলাকার বাসিন্দা মো. নুর ইসলাম বলেন, এই বাঁধটি হওয়ায় আমাদের এখানকার প্রায় ৪ গ্রামের মানুষের খুবই উপকার হয়েছে। হঠাৎ বাঁধটিতে ধস দেখা দেওয়ায় আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। দ্রুত বাঁধটি রক্ষা করা না হলে গ্রামগুলো বন্যার কবলে পড়বে। আমাদের এ অঞ্চলের মানুষের খুব ক্ষতি হবে।

কুড়িগ্রামে বাঁধে ধস, ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী

দক্ষিণওয়ারি গ্রামের বাসিন্দা মো. খায়রুল কবির বলেন, আমরা দুই দিন ধরে খুব আতঙ্কে ছিলাম। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত করেছে। এখন পানি কমছে, আশা করছি স্থায়ী সমাধান হবে।

রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বাঁধটি নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। যদি পানির তোড়ে বাঁধটি ভেঙে যেত তাহলে আমার ইউনিয়নের অর্ধেক এলাকার ভিটেমাটি ও ফসলি জমি ভাঙন ঝুঁকিতে পড়তো।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাঁধটির ধস ঠেকাতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। দিন-রাত ওখানে জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ধস ঠেকানো গেছে। বর্তমানে পানি কমতে শুরু করেছে। সারাক্ষণ তাদরকি চলছে, আশা করছি বাঁধটি ঝুঁকিমুক্ত করতে পারবো।

ফজলুল করিম ফারাজী/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।