বগুড়ায় বাড়ছে পানি, ভাঙছে নদী
বগুড়ায় বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৮ সেন্টিমিটার। উজানের ঢল এবং তীব্র স্রোতে নতুন নতুন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা যায়, পানি বাড়ার কারণে বগুড়ার সারিয়াকান্দি হাসনাপাড়া স্পার-২ এর মূল কাঠামোর সংযোগ স্থানে গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে প্রায় ২০ মিটার এলাকা ধসে যায়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান।
এরপর সেখানে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভাঙন কবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিও এবং সিনথেটিক ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেখানে ৬ শতাধিকের বেশি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলায় সেখানে এখন ভাঙন কমতে শুরু করেছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৮ সেন্টিমিটার। একইসঙ্গে বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার।
এদিকে উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া, ইদুমারা, ইটুমোড় এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ চলমান রয়েছে।
অপরদিকে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় উপজেলার ৪টি নিম্নাঞ্চলের মানুষ কষ্টে জীবনযাপন করছেন। ফসলি জমিসহ নদীর পাড় ভেঙে বসতবাড়ি বিলীন হচ্ছে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সারিয়াকান্দির উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হুমায়ন কবীর জানান, যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢল এবং তীব্র স্রোতের কারণে সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ভাঙনরোধে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া উপজেলার হাসনাপাড়া স্পার-২ এ গত বুধবার রাতে ভাঙন দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে সেখানে বালুভর্তি জিও এবং সিনথেটিক ব্যাগ ফেলে ভাঙন বন্ধ করা হয়েছে।
এফএ/জিকেএস