নাটোর-৪ আসনের এমপি আব্দুল কুদ্দুস মারা গেছেন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ১০:৪৪ এএম, ৩০ আগস্ট ২০২৩

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ আসনের (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস মারা গেছেন।

বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিজ বাসভবনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট নিয়ে দ্রুত রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শ্বাসকষ্ট কন্ট্রোল করা কঠিন হচ্ছিল এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাচ্ছিল। ফলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই বুধবার সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী বলেন, মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তিনি সাতবার এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পাঁচবার সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সপ্তম জাতীয় সংসদে তিনি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে বর্তমান মেয়াদে নিযুক্ত ছিলেন।

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে নাটোর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব শূন্যতাই নয়, দেশ হারালো একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ সংসদ সদস্যকে। যিনি এ অঞ্চলের শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

এছাড়া নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিশুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলসহ নানা শ্রেণির ও পেশার মানুষ তার এ মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

রেজাউল করিম রেজা/এএএম/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।