যশোর বোর্ড
এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জ করে ফল পরিবর্তন হলো ২৭৪ জনের
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষায় ২৭৪ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। এরমধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪৩ পরীক্ষার্থী। আর অকৃতকার্য থেকে কৃতকার্য হয়েছে ৫৪ জন। আর অকৃতকার্য থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৯ জন। বাকিদের বিভিন্ন গ্রেডে ফল পরিবর্তন হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষার এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বোর্ড প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে এতো সংখ্যক পরীক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন ও একেবারে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ পাওয়ায় পরীক্ষকদের দক্ষতা আর দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, পুনর্নিরীক্ষায় এতো ফলাফল পরিবর্তন এটিই বোর্ডের প্রথম। এসকল পরীক্ষকদের তালিকা করা হচ্ছে। খাতা দেখায় ভুল করা পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফল গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে আপত্তি ও প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ফল চ্যালেঞ্জ করেছিল ৪৩ হাজার ৯৬২ জন পরীক্ষার্থী। এতে ২৭৪ জনের ফলাফল পরিবর্তন এসেছে। তাদের মধ্যে অকৃতকার্য হওয়া ৫৯ পরীক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষায় বিভিন্ন গ্রেড পয়েন্ট পেয়ে কৃতকার্য হয়েছে। এর বাইরে অকৃতকার্য থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন। এ গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৩ জন, এ মাইনাস থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন। বি গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। সি গ্রেড থেকে জিএ-৫ পেয়েছেন একজন। এছাড়া বাকিদের বিভিন্ন গ্রেডে ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে।
এই বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ বলেন, পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বর যোগফল গণনার কারণে পুনর্নিরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন আসে। ৪৩ হাজার ৯৬২ জন পরীক্ষার্থী উত্তরপত্র নতুন করে পরীক্ষক নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হয়। এতে ২৭৪ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। কিছু খাতায় অনিচ্ছাকৃত বা গণনার কারণে ভুল হয়। নিয়ম অনুযায়ী যে প্রাপ্য ফলাফল সেটাই দেওয়া হয়েছে। আর খাতা দেখায় ভুল করা পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিলন রহমান/এফএ/এএসএম